নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সুপার টুয়েলভে ভালোই জমে উঠেছে বিশ্বকাপ। গতপরশু যেমন বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচেও উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছে। তবে দু’টো ম্যাচের অবশ্য বিপরীতমুখী অবস্থান ছিল। ডেথ ওভারে বাংলাদেশ যেখানে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেনি, পাকিস্তান ডেথ ওভারেই আফগানদের মুঠো থেকে ম্যাচটা জিতে নেয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৪৪ রানের জবাবে শুরু থেকে ম্যাচে ছিল বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ চার ওভারে দরকার ছিল ৩৩ রান। ওই মুহূর্তে ম্যাচটায় যে কেউ বাংলাদেশের পক্ষেই বাজি ধরবে। আইসিসির ‘উইন প্রেক্টিডর’ও বলছিল, জয়ের পাল্লাটা বাংলাদেশের দিকেই হেলে আছে। সবকিছু ভুল প্রমাণ করে বাংলাদেশ পারেনি। ডোয়াইন ব্রাভোর ১৭তম ওভার থেকে উইকেটে থাকা দুই ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ-লিটন নিতে পারেন মাত্র তিন রান।
মূলত এই ওভার থেকেই ম্যাচ বাংলাদেশের হাতছাড়া হতে থাকে। চারটি ডট বল দেন মাহমুদউল্লাহ-লিটন। ১৮তম ওভার থেকে ৮ রান এলেও বাংলাদেশের পরাজয়ের ব্যবধান থেকে গেছে ৩ রান। শেষ চার ওভারে তারা নিতে পারে ৩০ রান। ডেথ ওভারে বলেকয়ে বড় শট খেলতে পারেন এমন একজন ব্যাটসম্যানের আক্ষেপে বাংলাদেশ পুড়েছে বহুবার! কিন্তু সমাধান যে মেলেনি তা তো বোঝাই যাচ্ছে।
তবে ২৪ বলে ৩৩ রানের সমীকরণ মেলাতে আসলে সেরকম ব্যাটারের দরকার কি না, সেটাও একটা প্রশ্ন? বাংলাদেশ না পারলেও অনেকটা একই অবস্থা থেকে ম্যাচ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। সেটাও ৬ বল হাতে রেখেই। শেষ চার ওভারে তাদের দরকার ছিল বাংলাদেশের চেয়ে চার রান বেশি। উইকেট অবশ্য একটি বেশি ছিল। ৩৭ রানের সমীকরণ শেষ দুই ওভারে দাঁড়ায় ২৪ রানে। আফগান পেসার করিম জানাতের ১৯তম ওভার থেকে ৪ ছক্কায় প্রয়োজনীয় রান একাই তুলে নেন আসিফ আলী।
পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় শট খেলতে পারা নিয়ে আসিফের পরিচিতি অনেক দিনের। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারছিলেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। বারবার ব্যর্থতার বৃত্তে থাকার পর অবশেষে এই বিশ্বকাপে নিজের কার্যকারিতা দেখাতে পারছেন আসিফ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ দিকে একাই জিতিয়েছিলেন। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও আসিফের নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসই ম্যাচটা বের করতে ভূমিকা রেখেছে। সেটা কীভাবে? ১৮তম ওভারের শেষ বলটা মিড-উইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নিতে চেয়েছিলেন শাদাব খান।
তবে শাদাবকে ফেরান আসিফ। আসিফের রান নিতে না চাওয়ার ব্যাপারটা যে পছন্দ হয়নি সেই মুহূর্তেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শাদাব। পরে ওভারের প্রথম বলেই লং অফের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে এক রান না নেওয়ার ‘ফ্ল্যাশব্যাক’ দেখান আসিফ। পরে আরও তিন ছক্কায় খেলা শেষ করে দেন এক ওভার বাকি থাকতেই। আসিফ জানতেন কাজটা তাঁকেই করতে হতো। সেই মুহূর্তে উইকেটে থাকা শাদাব একজন লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। আর আসিফ দলেই আছেন শেষ দিকে ঝড় তুলতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।