Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্জ্য কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে

উম্মে সারা সুলতানা তন্বী | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৬ এএম

জনসংখ্যায় বিশ্বে অষ্টম বৃহত্তম দেশ বাংলাদেশ, যদিও আয়তনে ৯২ তম। ঘনবসতিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। মাত্র ৫৬ হাজার বর্গ মাইলেরও কম এই ক্ষুদ্রাতায়নের দেশটির জনসংখ্যা ১৬ কোটিরও বেশি। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭%। ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে সমানতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে মানবসৃষ্ট বর্জ্যও। প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার বা ভোগ করার পর অব্যবহারযোগ্য যে আবর্জনা তৈরি হয় সেগুলিকে বর্জ্য পদার্থ বলে। জীববৈচিত্র্য রক্ষা, সমস্ত জীবকূলকে রোগের হাত থেকে রক্ষা, পরিবেশ দূষণ ও অবনমন রোধের লক্ষ্যে আবর্জনা সংগ্রহ, পরিবহন প্রক্রিয়াজাতকরণ, পুনর্ব্যবহার এবং নিষ্কাশনের সমন্বিত প্রক্রিয়াকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলা হয়। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তিনটি নীতি: বর্জ্য কমানো ও প্রতিরোধ, বর্জ্যরে পুনর্ব্যবহার এবং রিসাইকল বা বর্জ্যরে পুনশ্চক্রীকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এরমধ্যে বর্জ্য কমানো বা প্রতিরোধ প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। বর্জ্য কমানো বা প্রতিরোধ বলতে মূলত বর্জ্যরে উৎপাদন কম করাকে বোঝায়।

ক্রমবর্ধমান বর্জ্য নিয়ে নাকাল পুরোবিশ্ব। স্থলভাগের পাশাপাশি সাগর, মহাসাগর, নদী ও অন্যান্য জলাশয় বিপুল পরিমাণ বর্জ্য বহন করে চলছে, যা প্রাণীকূলের বেঁচে থাকার জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রতিদিন ঢাকার দুই সিটিতে প্রায় ৬ হাজার ২৫০ টন বর্জ্য তৈরি হয়। এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোসাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডোর) এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনার কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণার একমাস পর উৎপাদিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য। এর মধ্যে শুধু ঢাকায় প্রায় তিন হাজার ৭৬ টন, যেখানে সার্জিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস এবং স্যানিটাইজারের বোতল এই বর্জ্যরে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। এভাবে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অসংখ্য মানুষের আবাসস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে, বর্জ্যরে স্তূপ সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা পঁচে গলে বাতাসকে মারাত্মক ভাবে দূষিত করছে, ড্রেনে জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে এবং তা বর্ষা মৌসুমে আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। রান্না ঘরের সৃষ্ট আবর্জনা, হাটবাজারের পচনশীল শাকসবজি, হোটেল-রেস্তোরাঁর বর্জ্য, কলকারখানার বর্জ্য, কসাইখানার বর্জ্য, প্রাণীজ বর্জ্য ইত্যাদি পরিবেশ দূষণ করছে। দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বায়ুদূষণ করছে, পানিতে মিশে পানি দূষণ করছে, মাটিতে মিশে মাটি দূষণ করছে এবং মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী ভুগছে নানা রোগ ও জটিলতায়। বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রমও নয়। আমাদের দেশে বায়ুদূষণের বড় কারণ সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব। বায়ুদূষণের ফলে শ্বাসতন্ত্রের নানাবিধ রোগ, যেমন, হাচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে হার্ট অ্যাটাক ও ক্যান্সারের মতো নানা রোগ সৃষ্টি করছে। প্রতিবছর পানিদূষণের ফলে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ দূষিত পানির সংস্পর্শে এসে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে (কলেরা, ডায়রিয়া) আক্রান্ত হচ্ছে। তেজষ্ক্রিয় বর্জ্য তেজষ্ক্রিয়তা ছড়ানোর মাধ্যমে রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে।

বসতবাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়। যেমন, পঁচা-বাসি খাবার, প্লাস্টিকের বর্জ্য সামগ্রী যেমন, ভাঙা থালা, মগ, জগ, খবরের কাগজ, কাঠের বা প্লস্টিকের ভাঙা চেয়ার টেবিল প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য কেনা, খাবার অপচয় করা, অপ্রয়োজনীয় বই খাতা ইত্যাদি। এসকল বর্জ্য কমানোর জন্য ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হলে বর্জ্যরে উৎপাদন কম হবে। কোনো পণ্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত না কেনা, যদি একটি ব্যাগেই দুটো পণ্য বহন করা যায়, তাহলে দুটো ব্যাগ না কিনে একটি ব্যাগ কেনার মাধ্যমে বর্জ্য প্রতিরোধ ও কমানো যায়। খাবার অপচয় না করা, এতে করে বাড়িতে পঁচা-বাসি খাবার উৎপন্ন কম হবে। যেখানে সেখানে বর্জ্য না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা। যেকোনো পচনশীল বস্তু বায়োগ্যাস তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। এর ফলে বর্জ্য কমিয়ে আবর্জনা ও দুর্গন্ধমুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ গড়ে উঠে। একজনের বর্জ্য আরেকজনের প্রয়োজনে লাগতে পারে। বিভিন্ন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বই, কর্মক্ষম ইলেকট্রনিক্স এবং আসবাবসহ বিভিন্ন দান করা জিনিসপত্র গ্রহণ করে বর্জ্য কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত প্যাকেটজাতীয় পণ্য কেনার মাধ্যমে বর্জ্যরে পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। গৃহস্থালি পণ্যের অন্যতম উৎস হলো খাদ্য প্যাকেজিংয়ের বর্জ্য। খাদ্য, ফল, সবজির মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ব্যাগ আসে। যদি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য (কাপরের) ব্যাগ নিয়ে বাজারে যাওয়া হয়, তাহলে এত প্লাস্টিক পণ্য বাড়িতে আসবে না। বর্জ্য কমানোর জন্য এমন জিনিসপত্র কেনা, যা পুনরায় ব্যবহার করা যায়। বর্জ্য কমানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো রিফিলিং (বস্তা বা বড় প্যাকেট থেকে পুনরায় বোতলজাত করা)। এ পদ্ধতিতে একটি বোতল বারবার রিফিল করে ব্যবহার করা যায়। এভাবে যদি সকল বাসায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করা যায়, তবে শত শত কোটি প্লাস্টিক বোতলের ব্যবহার রোধ করা সম্ভব। প্লাস্টিক, পলিথিন অপচনশীল হওয়ায় এগুলো অবিয়োজিত থেকে মাটির উর্বরতা নষ্ট করে এবং পানিতে জলজপ্রাণীর ক্ষতি করে। প্লাস্টিক স্টিরিনথ নামক ক্ষতিকর পদার্থ তৈরি করে, যা ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির সৃষ্টি করে। তাই অপচনশীল প্লাস্টিক, পলিথিন পণ্য এড়িয়ে চলে পরিবেশবান্ধব পচনশীল পণ্য যেমন কাপড়ের ব্যাগ, পাটের ব্যাগ ব্যবহার করা উচিত। ধোয়ামোছার ভয়ে ওয়ানটাইম পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে, ভ্রমণের ক্ষেত্রেও তাই। তাই সব সময় ব্যবহারের জন্য নিজস্ব ব্যবহার্য থালা, মগ, চামচ ব্যবহার করলে ওয়ানটাইম সামগ্রীর ব্যবহার রোধ করা যায়। বিশ্বে প্রতি মিনিটে প্রায় পাঁচ লাখ প্লাস্টিক বোতল বিক্রি হচ্ছে। বিবিসি নিউজ বলছে, বিশ্বজুড়ে ৮০ লাখ টন বর্জ্য সাগরে গিয়ে পড়ে, ২০৫০ সাল নাগাদ বছরে এর পরিমাণ হবে ১ লাখ ৩০ হাজার টন। এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন কর্তৃক বাংলাদেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিয়ে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে তরুণ ও যুবকরাই প্লাস্টিক দূষণের জন্য দায়ী, যেসব খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিকের প্যাকেট রয়েছে, সেগুলোর বেশির ভাগ ভোক্তা ১৫ থেকে ৩৫ বছরের তরুণ ও যুবক। যুব সমাজ একটি নিরাপদ সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই তারা যদি প্লাস্টিকসহ অন্যান্য বর্জ্যের খারাপ দিকের প্রভাব সম্পর্কে অবগত থেকে এর কুফল সম্পর্কে নিজেরা সচেতন হয় এবং অপরকে সচেতন করে তাহলে বর্জ্য প্রতিরোধ বা কমানো অনেকটা সহজ হয়ে পড়ে।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। সারাদেশে প্রায় ২৪৮ টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মাত্র ৩৫ টন ব্যবস্থাপনার আওতায় ছিল। মাস্কসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছে ৭১ ভাগ মানুষ। মাস্ক ও অন্যান্য করোনা বর্জ্য পুরোটাই গৃহস্থালি বর্জ্যরে সাথে মিশে যাচ্ছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও জানিয়েছেন, তারা প্রায় সব বাড়ি থেকেই মাস্ক ও গ্লাভস পাচ্ছেন। এতে করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। পরিচ্ছন্নকর্মীরা আবর্জনা সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয় নানা ধরনের রোগে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে পরিচ্ছন্নকর্মীরাও করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে। মাস্ক সহজলভ্য হওয়ায় অতিরিক্ত মাস্ক কেনে অল্প সময় ব্যবহার করে যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, দেশের বেশিরভাগ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকগুলোর মেডিকেল বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা নেই এবং আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। হাসপাতালের অনেকগুলি পণ্য যেমন, কার্ডবোর্ড, অফিসের কাগজ, অ্যালুমিনিয়ামের ক্যান, কাচের বোতল, সংবাদপত্র, প্লাস্টিক ক্যান ইত্যাদির পুনর্ব্যবহার অনুশীলনের মাধ্যমে বর্জ্যরে পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব এবং হাসপাতালের অর্থও সঞ্চয় হয়।

দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ইলেকট্রনিক পণ্য থেকে সৃষ্ট বর্জ্য বা ই-বর্জ্য। গত দশ বছরে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ গুণ। কিন্তু এ প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হচ্ছে ডাস্টবিনে। ফলে সেগুলো মাটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে এবং বিষাক্ততা ছড়াচ্ছে। বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ টন ই-বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। ২০২৩ সালে এই ই-বর্জ্যরে পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১২ লাখ। ই-বর্জ্য প্রতিরোধে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে অপচয় রোধ করার মানসিকতা থাকতে হবে। আর ব্যবহারের পর নষ্ট বা বাতিল মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ ই-বর্জ্য ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে অর্থ পাবেন ব্যবহারকারী, এমন শর্ত রেখেই ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ প্রণয়ন করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। এই বিধিমালার ফলে কেউ আর পুরনো বা ব্যবহৃত মোবাইল বা ল্যাপটপ আনতে পারবে না। সরকারের এই বিধিমালা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে ই-বর্জ্যরে উৎপাদন কম হবে।
ট্যানারিসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার বর্জ্য, এসিড, বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য, খালবিল ও নদীর পানির সাথে মিশে ফসলি জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে করে নদী খালবিলের জৈববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, মাটি দূষিত হচ্ছে। ঢাকার হাজারীবাগ, তেজগাঁও ও ঢাকার নারায়ণগঞ্জে নদী রক্ষা বাঁধ ঘিরে গড়ে উঠেছে ছোট বড় প্রায় সাত হাজার কারখানা। এসব শিল্পকারখানার বর্জ্য সরাসরি পড়ছে বুড়িগঙ্গা নদীতে। ভয়াবহ দূষণে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা এখন মৃত। একই অবস্থা এর চারপাশের তুরাগ ও বালু নদীর। বাষট্টি রকমের রাসায়নিক বর্জ্য ও অন্যান্য বর্জ্যে দূষণে বুড়িগঙ্গার পানি এতটাই বিষাক্ত হয়েছে যে, পোকামাকড়সহ কোনো প্রাণীই বেঁচে থাকতে পারে না। বুড়িগঙ্গার বিষে আক্রান্ত হচ্ছে বৃহৎ নদী পদ্মা, মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, গোমতি, ধলেশ্বরী আর শীতলক্ষ্যা। বর্ষাকালে এই দূষিত পানি বিভিন্ন নদী হয়ে গিয়ে পড়ছে বঙ্গোপসাগরে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভয়াবহ এ দূষণ রোধ না করতে পারলে আগামী এক দশকের মধ্যে এসব নদীর পানিও বিষাক্ত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। তাই এখনই সচেতন হতে হবে। তাই প্রত্যেক শিল্পকারখানার মালিকদের এ সম্পর্কে সচেতন হয়ে বর্জ্য কম উৎপন্নের ব্যবস্থা নিতে হবে, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। অনেকে নিয়ম নীতি মানেন না, সরাসরি বর্জ্য নদীতে ফেলেন, বর্জ্য যেখানে সেখানে স্তূপ করে রাখেন। এ ধরনের অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিনিময়ের মাধ্যমে শিল্পবর্জ্য কমানো যায়। এক শিল্পের বর্জ্য অন্য শিল্পের উৎপাদনে ব্যবহৃত হতে পারে। শিল্পক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার কমানো, পানির অতিরিক্ত ব্যবহার কমানোর মাধ্যমে শিল্পবর্জ্য প্রতিরোধ করা যায়। শিল্পক্ষেত্রে অ্যাফ্লুয়েনট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (ইটিপি) স্থাপন করে বর্জ্য শোধন করে পরিশোধিত পানি নদীতে ফেলে নদীর বর্জ্য কমানো সম্ভব। অধিকাংশ কারখানা ব্যয় কমাতে সরাসরি বর্জ্য নদীতে ফেলে। এসব কারখানাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আইন প্রয়োগ ও এ সম্পর্কে সচেতন করে প্রত্যেক কারখানায় ইটিপি প্লান্ট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
লেখক: এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্জ্য

৮ নভেম্বর, ২০২২
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন