গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নিখোঁজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর লাশ মিলল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে। বুধবার রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলের দরজা ভেঙে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের পাশে পড়ে ছিল সুইসাইড নোট। ওই ছাত্রের নাম আদনান সাকিব। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। মাস্টার্স করছিলেন অন্য একটি বিভাগে। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলে। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলার সোনাখুলিতে। বাবার নাম আবদুল মালেক।
মঙ্গলবার থেকে সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় জিডি করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে হোটেল কর্নফুলীর ১০৭ নম্বর কক্ষ থেকে বুধবার রাত দেড়টায় লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ধারণা করছে সাকিব আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি সুইসাইডাল নোট রেখে যান। সেখানে তিনি লেখেন— তার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নন। পুলিশ কর্ণফুলী হোটেরের রেজিস্ট্রার খাতা ঘেঁটে দেখেন, গত মঙ্গলবার ওই রুম ভাড়া নেন সাকিব।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা বলেন, বুধবার রাত ৯টায় সাকিবের স্ত্রী নুসরাত আফরিন থানায় এসে জানান তার স্বামীকে দুদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। পরশু দিন দুপুরে শেষ কথা হয়, এর পর আর পাওয়া যায়নি। তিনি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং- ১৯৫৪) করেন। আমরা সাকিবের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং করি। সেখানে দেখা যায়, সেগুনবাগিচা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তার অবস্থান দেখাচ্ছে। পাশের কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলে খোঁজ নিলে তার সন্ধান মেলে। আমরা ১০৭ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খোলেননি। পরে দরজা ভেঙে দেখি তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।