পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফের ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে রাজবাড়ীর পদ্মায়। মুহূর্তের মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত দেড় শত মিটার শহর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী পাইলিং। সরিয়ে নিতে হয়েছে অন্তত ১৫টি বসতবাড়ি। মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে রাজবাড়ী শহররক্ষা বাঁধ। ভাঙন ঝুঁকিতে শত শত বসতবাড়ি, মসজিদ, বিদ্যালয়সহ বহু স্থাপনা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে হঠাৎই ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয় রাজবাড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোদার বাজার এলাকায়। মুহূর্তেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে স্থায়ী পাইলিংয়ের সিসি ব্লক। আর শহর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে থাকা বসতবাড়িগুলো ভেঙে অন্য স্থানে সরাতে ব্যস্ত বাসিন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার সকালেই সরিয়ে নিতে হয়েছে ১৫টি বসতবাড়ি।
গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দা সবুজ আহম্মেদ বলেন, গত জুন মাসে ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধের স্থায়ী পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়। কাজ শেষ হওয়ার একমাস পর থেকে ৬ দফার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ১ হাজার মিটারেরও বেশি এলাকা। সরিয়ে নিতে হয়েছে আরো অন্তত ২ শত বসতবাড়ি। তাই দাবি উঠেছে কাজের মান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকি নিয়ে।
অপর বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, রাজবাড়ী শহরকে রক্ষা করার জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে যে কাজ হয়েছে তার কোন তদারকি ও কাজের মান ভালো না হওয়ায় আজকের এই ভাঙন। দুর্নীতিবাজরা লাভবান হয়েছে আর ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। এখন শহররক্ষা বাঁধের উপর আশ্রয় নিতে হবে। আর বাঁধ ভেঙে গেলে পানি ঢুকে পড়বে শহরে। তখন বুঝবে শহরের বড় বড় অট্টালিকায় থাকা বড় বড় মানুষরা।
গোদার বাজার এলাকার বাসিন্দা হাচিনা পারভীন বলেন, ভাঙনের তীব্রতা এতই বেশি যে আতঙ্কিত না হয়ে উপায় নেই। বসতভিটা পরিবার-পরিজন নিয়ে মারাত্মক চিন্তায় আছি। এখন যাওয়ার মতো আর কোন যায়গা নেই। সরকার যদি এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তবে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে রাজবাড়ীবাসীর জন্য।
ভাঙন ঝুঁকিতে থাকা গোদার বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোকসেদুল মোমিন বলেন, যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে গোদার বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোদার বাজার জামে মসজিদ, গোদার বাজার মাদরাসাসহ শত শত বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, আমরা তিনবার সার্ভে করেছি। তিনবারই দেখেছি পদ্মার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। হঠাৎ করে ভাঙন যে আকার ধারণ করেছে তাতে মনে হচ্ছে জিও ব্যাগে এই ভাঙন রক্ষা করা সম্ভব নয়। ফেলতে হবে জিও টিউব। জিও টিউব ফেলার জন্য পর্যাপ্ত মেশিন ও শ্রমিক প্রয়োজন। শিগগিরই ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।