নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একেকটি ম্যাচ যায় আর নতুন সব কীর্তি ধরা দেয় সাকিব আল হাসানের হাতে। এবার নতুন এক পালক যুক্ত হলো তার রেকর্ডের মুকুটে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের সফলতম বোলার এখন বিশ্বকাপেও সবার ওপরে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড গড়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
গতকাল শারজাতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে পাথুম নিশানকাকে বোল্ড করে নতুন উচ্চতা স্পর্শ করেন সাকিব। সেই ওভারেই মাত্র এক রান দিয়ে আভিশকা ফার্নান্দোকে বোল্ড করে নেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। এখন পর্যন্ত এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরের সবগুলোতে খেলা সাকিব রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন ২৮ ইনিংসে। আফ্রিদি রেকর্ডটি গড়েছিলেন ৩৪ ইনিংসে। বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট হলো ৪১টি।
এবারের বিশ্বকাপ সাকিব শুরু করেছিলেন অনেকগুলো রেকর্ড সামনে রেখে। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এক ওভারে জোড়া শিকারের মাধ্যমে এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার। প্রথমত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট (১০৮) ও প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার রান ও ৬০০ উইকেট।
দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। আর প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে আফ্রিদির রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন সাকিব। আর গতকাল তো এককভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হলেন। এমনকি এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। চলতি বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট বেড়ে হয়েছে ১১টি। এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড (১৫) নিজের করে নিতে আর মাত্র ৫ উইকেট প্রয়োজন তার। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এখন সাকিবের উইকেট ১১৭টি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিদি প্রতি ২০.৭ বলে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। সাকিবের স্ট্রাইক রেট তার চেয়ে বেশ ভালো- ১৫.৪ বলে একটি উইকেট। বোলিং গড়েও আফ্রিদির (২৩.২৫) চেয়ে এগিয়ে সাকিব (১৬.৪১)। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে সাকিব ও আফ্রিদির পর রয়েছেন যথাক্রমে লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট), সাঈদ আজমল (২৩ ম্যাচে ৩৬ উইকেট) ও অজন্তা মেন্ডিস (২১ ম্যাচে ৩৫ উইকেট)।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই আরেক কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে তিনি হয়ে যান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার। সবমিলিয়ে ৯১ ম্যাচে ১৯.৫৩ গড়ে তিনি পেয়েছেন ১১৫ উইকেট। ২০০৬ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেটটা নিয়েছিলেন সাকিব। ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। প্রথম ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন ৪২ ম্যাচ ও ১০ বছর সময় নিয়ে। পরের ৫০ উইকেট পেতেও তার খেলতে হয়েছে ৪২ ম্যাচ। তবে এবার ৫০ উইকেট পেতে সাকিবের লেগেছে মাত্র ৫ বছর। তবে মুশফিক-নাঈমের ফিফটিতেও পাওয়া বড় সংগ্রহের পরও বাকিদের বাজে বোলিং আর ম্যাচ মিসের পসরা সাজিয়ে ম্যাচটি হেরে গেছে বাংলাদেশ!
টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীরা
উইকেট বোলার দেশ ম্যাচ ওভার সেরা ইকো. ৪/৫
৪১ সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ২৯ ১০৩.১ ৪/৯ ৬.৩৬ ৩/০
৩৯ শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তান ৩৪ ১৩৫.০ ৪/১১ ৬.৭১ ২/০
৩৮ লাসিথ মালিঙ্গা শ্রীলঙ্কা ৩১ ১০২.৪ ৫/৩১ ৭.৪৩ ০/১
৩৬ সাঈদ আজমল পাকিস্তান ২৩ ৮৯.২ ৪/১৯ ৬.৭৯ ৩/০
৩৫ অজন্তা মেন্ডিস শ্রীলঙ্কা ২১ ৭৮.১ ৬/৮ ৬.৭০ ১/১
৩৫ উমর গুল পাকিস্তান ২৪ ৮২.৪ ৫/৬ ৭.৩০ ১/১
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।