নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড এতদিন এককভাবে দখলে রেখেছিলেন শহিদ আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডারের কীর্তিতে এবার ভাগ বসালেন বাংলাদেশের তারকা সাকিব আল হাসান। গতকাল পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ৪ উইকেট শিকার করে তিনি উঠে গেলেন চূড়ায়। নিজের চতুর্থ ও শেষ এবং পাপুয়া নিউগিনির ইনিংসের ১১তম ওভারে আফ্রিদির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন সাকিব।স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে যায় ব্যাটসম্যান হিরি হিরির। ক্যাচ লুফে নেওয়ার বাকি কাজটা অনায়াসে সারেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান।
ক্রিকেটের আধুনিকতম সংস্করণের বিশ্ব আসরে ৩৪ ম্যাচ খেলে ২৩.২৫ গড়ে ৩৯ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি। সবগুলো আসরে সাকিব রেকর্ডটি স্পর্শ করলেন ৬ ম্যাচ কম খেলেই, ২৭ ইনিংসে। ১৬.৪১ গড়ে তিনি দখল করেছেন ৩৯ উইকেট।
ওমানের মাসকাটে প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৭ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। সেদিনই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বনে গিয়েছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। পরের ম্যাচে ওমানের ম্যাচে ২৮ রানে ৩ উইকেটের পর গতকাল পিএনজির বিপক্ষে ছিলেন আরো বিধ্বংসী- ৯ রানে ৪! যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সেরা বোলিং ফিগার। ১৫টি ডট দেওয়ার পাশাপাশি এই বাঁহাতি স্পিনার হজম করেননি কোনো চার-ছয়। ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে উদ্ধার করার পর বোলিংয়েও সেরা পারফরমার সাকিবই। এ নিয়ে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবার ইনিংসে ৪ বা এর বেশি উইকেট নিলেন তিনি। গত আগস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ৯ রানেই। সাকিবের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ২০১৮ সালে। মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেবার ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এ বাঁহাতি।
পবালিংয়ে ওভারসংখ্যায়ও আফ্রিদির চেয়ে কম বল করে মাইলফলকটির দেখা পেলেন তিনি। আফ্রিদি ৩৯ উইকেট পেয়েছেন ১৩৫ ওভার বল করে। সাকিব ১০০.১ ওভারেই তার পাশে বসলেন। অর্থাৎ ৩৪.৫ ওভার কম বল (২০৯ বল) করেছেন সাকিব। আর একটি উইকেট পেলেই আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে এককভাবে রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক।
শুধু তাই নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিদি প্রতি ২০.৭ বলে একটি করে উইকেট নিয়েছেন। সাকিবের স্ট্রাইক রেট তার চেয়ে বেশ ভালো- ১৫.৪ বলে একটি উইকেট। বোলিং গড়েও আফ্রিদির (২৩.২৫) চেয়ে এগিয়ে সাকিব (১৬.৪১)। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির এই তালিকায় শীর্ষ পাঁচে সাকিব ও আফ্রিদির পর রয়েছেন যথাক্রমে লাসিথ মালিঙ্গা (৩১ ম্যাচে ৩৮ উইকেট), সাঈদ আজমল (২৩ ম্যাচে ৩৬ উইকেট) ও অজন্তা মেন্ডিস (২১ ম্যাচে ৩৫ উইকেট)।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই আরেক কীর্তি গড়েছিলেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে তিনি হয়ে যান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার। সবমিলিয়ে ৯১ ম্যাচে ১৯.৫৩ গড়ে তিনি পেয়েছেন ১১৫ উইকেট। ২০০৬ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেটটা নিয়েছিলেন সাকিব। ৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। প্রথম ৫০ উইকেট নিয়েছিলেন ৪২ ম্যাচ ও ১০ বছর সময় নিয়ে। পরের ৫০ উইকেট পেতেও তার খেলতে হয়েছে ৪২ ম্যাচ। তবে এবার ৫০ উইকেট পেতে সাকিবের লেগেছে মাত্র ৫ বছর।
টি-২০ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীরা
উইকেট বোলার দেশ ম্যাচ ওভার সেরা ইকো. ৪/৫
৩৯ সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ২৮ ১০০.১ ৪/৯ ৬.৩৮ ৩/০
৩৯ শহীদ আফ্রিদি পাকিস্তান ৩৪ ১৩৫.০ ৪/১১ ৬.৭১ ২/০
৩৮ লাসিথ মালিঙ্গা শ্রীলঙ্কা ৩১ ১০২.৪ ৫/৩১ ৭.৪৩ ০/১
৩৬ সাঈদ আজমল পাকিস্তান ২৩ ৮৯.২ ৪/১৯ ৬.৭৯ ৩/০
৩৫ অজন্তা মেন্ডিস শ্রীলঙ্কা ২১ ৭৮.১ ৬/৮ ৬.৭০ ১/১
৩৫ উমর গুল পাকিস্তান ২৪ ৮২.৪ ৫/৬ ৭.৩০ ১/১
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।