মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নভেল করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ এবং মূল্যস্ফীতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। এ বিষয়ে সতর্কও করেছে বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি। সে কারণে দরিদ্র দেশগুলোতে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা প্রয়োগের হার বাড়াতে সহায়তা করতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতি আহŸান জানিয়েছে আইএমএফ। খবর এপি। স¤প্রতি শেষ হয়েছে ১৯০ সদস্য দেশের সংগঠন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সভা। বিশ্বের ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টিকাদান হারের মধ্যে যে বিস্তর পার্থক্য তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় এ সভায়। সেখানেই ধনী দেশগুলোকে টিকাদানের হার বাড়ানোর জন্য সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে আহŸান জানানো হয়। ঋণদাতা সংস্থাটি টিকাদানের হার বাড়াতে আরো বৃহত্তর প্রচেষ্টা নিতে সম্পদশালী দেশগুলোর প্রতি আহŸান জানিয়েছে, যার মাধ্যমে এ বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বের সব দেশের গড়ে অন্তত ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা যায়। আগামী বছরের মধ্যভাগ নাগাদ এ হার ৭০ শতাংশ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ মুহ‚র্তে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর ৬০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। অন্যদিকে দরিদ্র দেশে এ হার মাত্র ৪ শতাংশ, যা আইএমএফের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফ বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকার সরবরাহ বাড়াতে ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের সরবরাহ অব্যাহত রাখতে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা দূর করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে সংগঠনটি। বিশ্বব্যাপী ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান চাপের বিষয়ে যথাযথ ভ‚মিকা রাখতে আহŸান জানিয়েছে আইএমএফ। যদি মূল্যবৃদ্ধি ঘটে তবে তা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দেবে। চলতি সপ্তাহে আইএমএফ তাদের অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের হালনাগাদ করেছে। যেখানে বৈশ্বির প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমানো হয়েছে। জুলাইয়ে দেয়া পূর্বাভাস ৬ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ করা হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিশ্বের সরবরাহ চেইনে যে বাধা সৃষ্টি হয়েছে, পূর্বাভাস কমানো তারই ইঙ্গিত করে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও ৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে আইএমএফ। অন্যদিকে দারিদ্র্যবিরোধী গোষ্ঠীগুলো গত সপ্তাহে আইএমএফের পদক্ষেপের বিষয়ে নিজেদের হতাশা প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, টিকাদানের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে আইএমএফের পরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট নয়। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের অবস্থানেরও সমালোচনা করা হয়েছে। এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।