গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অন্য ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিরা হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সততা, উদারতা, মানবতা, শাসন ও বিচারে নিরপেক্ষতা ইত্যাদি গুণাবলীর প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি। গোটা বিশ্বে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ রূপেই স্বীকৃত হয়েছেন। ধর্মীয় রাজনৈতিক সামাজিক রাষ্ট্রীয় ইত্যাদি ক্ষেত্রেই হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম সফলকাম ব্যক্তি রূপে গণ্য করা হয়। ‘বিশ্ব জগতের প্রতি রহমত স্বরূপ প্রেরিত’ হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে শুধু একজন নবী ও ধর্ম প্রচারকের গন্ডিতে আবদ্ধ না রেখে তার সার্বজনীন শিক্ষা এবং তার রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনাচারকে অনুসরণ করলে তা হবে বিশ্ব মানবের জন্য কল্যাণের সমৃদ্ধির স্বস্তির এবং নিরবচ্ছিন্ন শান্তির। আজ শনিবার পল্টন বক্স কালভাটস্থ বাংলাদেশ মুসলিম লীগের কার্যালয়ে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে “হযরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানুষ” শীর্ষক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আবদুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জসীমউদ্দিন, অতিরিক্ত মহাসচিব কাজী এ.এ কাফী, খান আসাদ, ইঞ্জিনিয়ার ওসমান গনী, অ্যাডভোকেট আফতাব মোল্লা, শেখ এ সবুর, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, এস.এম আনিসুজ্জামান মানিক, আব্দুর রহমান, মো. নূর আলম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) শুধু একজন ধর্ম প্রচারকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ৬২২ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত মদিনা কেন্দ্রিক মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্র প্রধান, মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রথম প্রধান সেনাপতি এবং প্রধান বিচারপতি। ৬২৪ খৃষ্টাব্দে তার নির্দেশনায় প্রণীত হয় বিশে^র প্রথম লিখিত রাষ্ট্রীয় সংবিধান ‘মদিনা সনদ’ যা সকল ধর্ম বিশ্বাসীর জন্য সম অধিকার ও ন্যায় বিচারের অঙ্গীকারসহ হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার এক উজ্জ্বল দলিল। ৬২৮ খৃষ্টাব্দে মক্কার পৌত্তলিক কুরাইশদের সঙ্গে হুদাইবিয়া সন্ধি করে তিনি অসামান্য কূটনৈতিক প্রজ্ঞার নিদর্শন রাখেন। ৬৩০ খৃষ্টাব্দে বিনা যুদ্ধে ও বিনা রক্তপাতে মক্কা বিজয় মুসলিম সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সামরিক কূটনীতির অনন্য কৃতিত্ব যা বিশ্বের সমর ইতিহাসে বিস্ময়কর এক ঘটনা রূপে স্বীকৃত। আলোচনা শেষে নবীজির প্রতি দুরূদ পাঠসহ মুসলিম বিশ্ব ঐক্য ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।