Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খাগড়াছড়িতে আখ চাষে লাভবান কৃষক

খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ৮:০৮ পিএম | আপডেট : ৯:৫৮ পিএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২১

আখ চাষে সফল খাগড়াছড়ির কৃষক। দিনে দিনে বাড়ছে পাহাড়ি জমিতে আখ চাষ। এতে অন্য ফসল চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে তারা। কম খরচে অধিক ফলন আখ চাষে। কৃষক লাভবান হচ্ছে অল্প পরিশ্রমে। আখের ফলন ভালো হওয়ায় নতুন করে কৃষক আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছে। ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ায় আখ চাষে তাদের এ আগ্রহ।

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির ওপর দিয়ে তিনটি নদী প্রবাহিত হয়েছে। চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদী। এই নদীগুলোর দুই পাড়ে রয়েছে প্রচুর সমতল ভূমি। এই ভূমিতেই আখ চাষ হয়ে থাকে। জেলায় সব চেয়ে বেশি আখ চাষ হয় চেঙ্গী নদীর দু’ধারে সমতল ভূমিতে। এরপরেই রয়েছে মাইনী নদীর দুই কূলের সমতল ভূমি।

বাংলাদেশ সুপার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি উপকেন্দ্রের তথ্যমতে, এ বছর খাগড়াছড়িতে ৩৪০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২০ হেক্টর বেশি। এই বছর প্রায় আড়াই কোটি পিস আখ উৎপাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা। খাগড়াছড়ি জেলায় আখ চাষের সঙ্গে সাড়ে ৩ হাজার পরিবার জড়িত রয়েছে এবং প্রতি পিস আখ ১২-১৬ টাকায় বিক্রি করা হয়।

পার্বত্য এলাকায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা বা জলাবদ্ধতা নেই বলেই আখের মিষ্টতা বেশি হয়। এ ছাড়াও বর্ষাতে আখের তেমন ক্ষতি হয় না বলেই বর্ষার পর আখ কাটলে কৃষকরা বেশি লাভবান হন। খাগড়াছড়ি থেকে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ঢাকায় আখ সরবরাহ করা হয়। আখের বিভিন্ন জাত রয়েছে। এর মধ্যে ‘রং বিলাশ’ জাতের আখ সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় এবং দামেও বেশি পাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি জেলার উৎপাদিত আখ চিবিয়ে খাওয়ার উপযোগী।

আখ চাষে কৃষকদের কারিগরি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সরাসরি সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশ সুপারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট। আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন।

খাগড়াছড়ি সদরের ইটছড়ি গ্রামের কৃষক মেরেয়্যা চাকমা ও কমলছড়ি গ্রামের কৃষক পল্টু চাকমা জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে আখ চাষে লাভ বেশি হয়। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় খরচের অর্ধেক লাভ হয়। এই জন্য তারা আখ চাষ করেন।

বাংলাদেশ সুপারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট খাগড়াছড়ি উপকেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা দিবাকর চাকমা জানান, খাগড়াছড়ি জেলার উৎপন্ন আখগুলো বাংলাদেশে সব চাইতে আকর্ষণী, এখানকার আখগুলো উজ্জ্বল রং লম্বা বেশি সেজন্য ঢাকার বাজারে এইগুলোর চাহিদা ও বেশি।

এখানকার আখগুলো মূলত চিবিয়ে খাওয়া আখ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তবে গুড় উৎপাদনে কাজে ও ব্যবহার হচ্ছে। কৃষকদের আখের সাথে সাথি ফসল উৎপাদনের জন্য পরামর্শ দেন তারা। ফলে এখানকার কৃষকেরা আখ চাষে আগ্রহী। এছাড়া তারা চাষিদের প্রশিক্ষণ কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকেন বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাগড়াছড়ি

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ