মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ানে উত্তেজনা সৃষ্টির এক সপ্তাহ পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শান্তিপূর্ণ উপায়ে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত দ্বীপ দেশটিকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে চীনের প্রতি জানিয়ে সমর্থন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার বলেছেন, তাইওয়ানের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত ‘পুনর্মিলন’ অর্জনের জন্য চীনের ‘শক্তি প্রয়োগের কোন প্রয়োজন নেই’।
চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে, অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেকে চীন থেকে আলাদা বলে মনে করে। ২ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার দ্বীপ দেশটি দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের পর ১৯৪৯ সালে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে স্বায়ত্বশাসনে রয়েছে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন গত রোববার একটি ভাষণে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ঘোষণা করেন যে, তার সরকার সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করবে যাতে ‘নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য আমাদের দৃঢ় সংকল্প প্রদর্শন করা যায়।’
বুধবার মস্কোতে রাশিয়ান এনার্জি উইক কনফারেন্সে সিএনবিসির হ্যাডলি গ্যাম্বলের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন শি’র প্রতিশ্রুতির দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, শান্তিপূর্ণ একীভূতকরণের সম্ভাবনা চীনের ‘রাষ্ট্রীয়তার দর্শন’, যাতে সামরিক সংঘর্ষের কোনো হুমকি নেই তা বোঝানো হয়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি চীনের শক্তি প্রয়োগের প্রয়োজন নেই। চীন একটি বিশাল শক্তিশালী অর্থনীতি, এবং ক্রয়ের সমতার দিক থেকে চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতি।’
পুতিন দক্ষিণ চীন সাগরের উপর উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কথাও বলেছেন, যেখানে রাশিয়া তাইওয়ান নিয়ে চীনের দীর্ঘদিনের এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা দাবির প্রতি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ চীন সাগরের জন্য, হ্যাঁ, কিছু পরস্পরবিরোধী স্বার্থ আছে। কিন্তু রাশিয়ার অবস্থান এই সত্যের উপর ভিত্তি করে যে, আমাদের অ-আঞ্চলিক শক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই এই অঞ্চলের সকল দেশের জন্য একটি সুযোগ প্রদান করতে হবে, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নিয়মের উপর ভিত্তি করে একটি সঠিক সমাধানে আসা।’
পুতিন বলেন, ‘এটি আলোচনার একটি প্রক্রিয়া হওয়া উচিত, এভাবেই আমাদের যেকোনো সমস্যা সমাধান করা উচিত। এবং আমি বিশ্বাস করি যে, এর একটি সম্ভাবনা আছে, কিন্তু এটি এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘চীন তার জাতীয় উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সক্ষম, তা তাদের এই অর্থনৈতিক শক্তি দিয়েই প্রকাশ পায়। ফলে, আমি কোনো হুমকি দেখছি না।’ সূত্র: সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।