মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বার্ধক্য একটা প্রাকৃতিক নিয়ম যা ঠেকানো সম্ভব না। এমনকি লুকিয়ে রাখা যায় না। বার্ধক্য আসলে মানুষের শরীর নুয়ে পড়ে। শরীরে ধরা পড়ে নানা রোগ। আমরা বেশিরভাগ মানুষ জীবনকে এভাবেই দেখি। কিন্তু জেনেটিক বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ার তা মনে করেন না। তিনি বলছেন যে বার্ধক্যকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব - দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের জন্য প্রয়োজন শুধু কিছু সহজ অভ্যাস।
ড. সিনক্লেয়ার বিশ্বাস করেন, এমন দিন খুব দূরে নেই যখন ওষুধের সাহায্যে বার্ধক্য সারিয়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব ওষুধ এখন পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এবং এই ওষুধগুলো দিয়ে বুড়ো হওয়ার প্রক্রিয়া আসলেই আটকে রাখা যাবে।
কে এই বিজ্ঞানী ডেভিড সিনক্লেয়ার?
বিজ্ঞানী ড. ডেভিড সিনক্লেয়ার অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেছেন এবং পরবর্তীতে গবেষণা করেছেন আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস্ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে। বর্তমানে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি ল্যাবরেটোরির প্রধান, যেখানে তার গবেষণার বিষয় - ‘কেন আমরা বুড়ো হই।’
তার গবেষণার জন্য তিনি বিজ্ঞান জগতের বহু পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি একজন সেলিব্রিটিও। টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ জনের তালিকায় তিনি নির্বাচিত একজন ব্যক্তিত্ব এবং টুইটারে তার অনুসারীর সংখ্যা দুই লাখ।
তার ৩৫টি গবেষণার সত্ত্বাধিকারী তিনি নিজে। তিনি বেশ কয়েকটি জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের হয় প্রতিষ্ঠাতা, নয়তো সেগুলোর কাজের সাথে সম্পৃক্ত। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশ কয়েকটি কাজের ক্ষেত্র হল বার্ধক্য বিলম্বিত করা বা ঠেকানো। মেরিল লিঞ্চ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী বার্ধক্য সংক্রান্ত কাজে বর্তমানে ব্যয় হচ্ছে ১১ হাজার কোটি ডলার, যা ২০২৫ সালে গিয়ে পৌঁছবে ৬০ হাজার কোটি বা ৬০০ বিলিয়ন ডলারে।
বাজারে এখন সবচেয়ে বেশি কাটতি যে বইটির, সেটি ড. সিনক্লেয়ারের লেখা - ‘লাইফস্প্যান-হোয়াই উই এজ-অ্যান্ড হোয়াই উই ডোন্ট হ্যাভ টু’ (কেন আমরা বৃদ্ধ হই-আর কেন আমরা বৃদ্ধ হবো না)। এই বইয়ে তিনি প্রচলিত বিশ্বাস ভাঙার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন - কেন বার্ধক্য একটা অবশ্যম্ভাবী প্রক্রিয়া নয়।
ড. সিনক্লেয়ার বিশ্বাস করেন, ‘বৃদ্ধ হওয়া নিয়ে যেভাবে আমরা ভাবি, সে ভাবনাতে আমাদের আমূল পরিবর্তন করতে হবে: আমাদের ভাবতে হবে বার্ধক্য একটা স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়ম নয়, আমাদের এটাকে একটা অসুখ হিসাবে দেখতে হবে - অর্থাৎ রোগ হিসাবে এর চিকিৎসা সম্ভব এবং এর নিরাময়ও সম্ভব। তিনি বলছেন, বৃদ্ধ বয়স নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি যদি আমরা একেবারে পাল্টে ফেলতে পারি, তাহলে মানবজাতির আয়ু উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।