পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আরোগ্যযোগ্য নয় এমন কিছু রোগের চিকিৎসায় বিপুল সম্ভাবনাময় হিসেবে দীর্ঘকাল ধরে স্টেম সেল নিয়ে গবেষণা চলছে। এখন বার্ধক্য প্রতিরোধের সমাধান হিসেবে তা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এ যখন বার্ধক্যরোধে স্টেম সেলসের সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চলছে, কয়েকজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ আগ্রহী মহিলাদের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া ব্যবহার করে বিপুল সাফল্য লাভের দাবি করেছেন। তারা বলছেন, যে কারো ত্বক ও মুখে বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধে স্টেম সেলভিত্তিক চিকিৎসা দেশব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ত্বকের যতেœ স্টেম সেলস দিল্লীর একজন শীর্ষস্থানীয় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দীপালি ভরদ্বাজ বলেন, মানব দেহের পুরনো জীর্ণ কোষগুলো মেরামত ও নতুন কোষ তৈরিতে স্টেম সেলসের অপরিসীম ক্ষমতা রয়েছে। এসব সেল যখন মুখের ত্বক ও অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করা হয় তা বিরাট ফলদায়ক হয়। বিলম্ব ছাড়াই ঝুলে পড়া ও বলিরেখাময় ত্বক টানটান হয়ে ওঠে ও সৌন্দর্য ফিরে পায়। আমরা এর সুফল হিসেবে দেখেছি যে বয়সের দাগ, চামড়ার কুঞ্চন মিলিয়ে যাচ্ছে এবং কারো কারো ক্ষেত্রে তা শেষপর্যন্ত মিলিয়ে গেছে।
চিকিৎসকদের দাবি যে অন্যান্য বার্ধক্য-প্রতিরোধ প্রক্রিয়ার ন্যূনতম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে, কিন্তু স্টেম সেলসের কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়াও নেই।
স্টেম সেলস সাধারণত মানুষের নিজ দেহের রক্ত ও চর্বি থেকে উৎপন্ন হয়। চর্বি নেয়া হয় কটিদেশ থেকে এবং তারপর স্টেম সেল ল্যাবরেটরিতে তা তৈরি করা হয়।
ডা. ভরদ্বাজ বলেন, কারো নিজস্ব স্টেম সেলসের মাধ্যমে বার্ধক্য প্রতিরোধ চিকিৎসা নিরাপদ ও শরীর সহজেই তা গ্রহণ করে। তাতে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন এলার্জি বা ইনফেকশন হয় না।
নতুন বার্ধক্য-প্রতিরোধক চিকিৎসা
ডা. ভরদ্বাজ বলেন, ত্বক পুনরুদ্ধার, বার্ধক্যকবলিত ত্বককে তাজা করা এবং বয়সজনোচিত কারণে ত্বকের ঘা নিরাময়ে একই ব্যক্তির দেহ থেকে নেয়া সেল বা টিস্যু ব্যবহারের বিরাট সুবিধা রয়েছে। জৈব প্রযুক্তি দফতর (ডিবিটি) গবেষণার বিভিন্ন দিকের জন্য স্টেম সেলস বিষয়ে বহু গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করছে এবং স্টেম সেল গবেষণার জন্য পৃথক তহবিল বরাদ্দ করেছে।
ডা. ভরদ্বাজ তার সর্বশেষ ৩৫ জন রোগীর উপর এ বার্ধক্য রোধ চিকিৎসা প্রক্রিয়া প্রয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, স্টেম সেল নিয়ে গবেষণা চলছে। অল্প কিছু পিতা-মাতা স্টেম সেল দিয়ে বার্ধক্য রোধ চিকিৎসার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু রোগীরা অন্যান্য চিকিৎসার তুলনায় এর সুফল দেখে ক্রমেই এ চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন।
স্টেম সেলসের শরীরের বিভিন্ন ধরনের কোষের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ের ক্ষমতা আছে। এআইআইএমএস-এর স্টেম সেল ফ্যাসিলিটির ফ্যাকাল্টি ইনচার্জ ডা. সুজাতা মোহান্তি বলেন, বহু আগে থেকেই ক্লিনিক্যাল চিকিৎসায় বোন-ম্যারোজাত স্টেম সেলসের সাথে বহু নতুন অর্গান চিহ্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, বার্ধক্য প্রতিরোধের ক্ষেত্রে পুনরুৎপাদনশীল ওষুধ ও সেলুলার থেরাপি বিপুল সম্ভাবনা বয়ে এনেছে।
বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক স্টেমসেল সার্ভিসেস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. গুরুরাজ এ রাও বলেন, নতুন যুগের চিকিৎসায় স্টেম সেলস কসমেটিক পদ্ধতির অংশ হতে পারে। প্রদাহ হ্রাস, পুনরুৎপাদন বৃদ্ধি এবং নবজীবন লাভে সাহায্যের মাধ্যমে বার্ধক্য রোধের চিকিৎসায় স্টেম সেলস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সূত্র ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।