বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আর্থিক অভাব, ঋণগ্রস্ততা আর পরিবারের ভরণ-পোষণে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আত্মহত্যা করে নিস্তার পেলেন দুজন। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে।
দিরাই থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজানগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের জাহানপুর গ্রামের মৃত গণেশ চন্দ্র দাসের পুত্র জিতেন্দ্র দাস (৫৫) গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজ ঘরের বাঁশের ধর্নার সাথে কারেন্টের জালের রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। রাতের কোন এক সময়ে তাকে ঘরের ভেতরে ঝুঁলে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
দিরাই থানার এসআই মৃদুল কান্তি সরকার জানান, খবর পেয়ে ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে তার লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরিবারের লোকজন জানিয়েছে, অভাবের কারণে তিনি হতাশায় ছিলেন। তাছাড়া অনেকেই তার কাছে টাকাও পেত। মৃত জিতেন্দ্র দাসের স্ত্রীসহ ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। তার বড় এক ভাই অনেক আগে আত্মহত্যা করে মারা যায় বলে জানা গেছে।
এদিকে একই কারণে গত সোমবার ৬ সন্তানের জননী রোশনা বেগম (৪০) নামে একজনের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের মাছিরপুর (নয়াবাড়ি) গ্রামের আলিফ নূরের স্ত্রী। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টার পরে কোন এক সময়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের লোকজন জানান। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
দিনমজুর আলিফ নূর স্ত্রী ও সন্তানের ভরণ-পোষন দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। অভাবী সংসারে খাবার নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। রাত তিনটার পরের কোন এক সময়ে সবার অগোছরে তিনি আত্মহত্যা করেন। উভয় ঘটনায়ই দিরাই থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।