মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানকে আর্থিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার কথা বললো জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি। সাহায্যের প্রতিশ্রুতি।
আফগানিস্তানের বেহাল অর্থনীতি ও তার ফলে ভয়ংকর বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের সাহায্য করার বিষয়টি নিয়ে জি২০ দেশগুলির শীর্ষনেতাদের ভার্চুয়াল বৈঠক হলো। সেখানেই সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলো একের পর এক দেশ। সেই সাহায্য কীভাবে দেয়া হবে, তা নিয়েও মতামত জানালেন তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যেমন জানিয়ে দিয়েছেন, আর্থিক সাহায্য যেন সরাসরি তালেবানের হাতে না দেয়া হয়। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তা আফগানিস্তানের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হোক।
ম্যার্কেলের বক্তব্য : আর কিছুদিন পরেই জার্মানির চ্যান্সেলারের পদ ছেড়ে দেবেন ম্যার্কেল। তিনি জানিয়েছেন, জার্মানি আগেই বলেছে, তারা আফগানিস্তানের জন্য ৬০ কোটি ইউরো দেবে। ম্যার্কেল জানিয়েছেন, আফগানিস্তানকে বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলার মুখে ঠেলে দেয়া উচিত হবে না।
ম্যার্কেলের কথায়, ''আফগানিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়লে আমরা কেউই লাভবান হব না। আফগানিস্তানের চার কোটি মানুষ বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন, বিদ্যুৎ থাকবে না, আর্থিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, এটা বিশ্বের দেশগুলির লক্ষ্য হতে পারে না। তাই আমাদের এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।'' ম্যার্কেলের দাবি, ''জাতিসংঘের সব সংস্থা যাতে আফগানিস্তনে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে, তালেবানকে তা নিশ্চিত করতে হবে।''
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন একশ কোটি ইউরো দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইইউ-তালেবান কথা : জি২০ বৈঠকের আগে তালেবান নেতাদের সঙ্গে দোহায় আলোচনা করেন ইইউ-র প্রতিনিধিরা। ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, তারা সরাসরি আফগানিস্তানের মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে চান। তারা চান না, মানুষ সেখানে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ুন। তিনি বলেছেন, ''আমরা আর অপেক্ষা করব না। দ্রুত কাজ করতে চাই।''
ইটালির প্রধানমন্ত্রী জি২০ বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন, সব দেশ তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তারা তালেবান সরকারকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য : জি২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি বলেছেন, আফগনিস্তানের মানুষকে সাহায্য করাটা খুবই জরুরি। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও নিশ্চিত করতে হবে, আফগানিস্তান যেন সন্ত্রাসের কেন্দ্র না হয়। এখান থেকে যেন সন্ত্রাস না ছড়ায়। মোদীর দাবি, আফগান প্রশাসনে নারী ও সংখ্যালঘুদের উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।