মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির বিরুদ্ধে ১৬৯ মিলিয়ন বা ১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির অভিযোগ তুলেছে দেশটির বর্তমান নিরাপত্তা বাহিনী প্রধান। রোববার গনি সরকারের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা দাবি করেন, এ চুরির ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আছে তার কাছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পিরাজ আতা শারিফি নামের ওই কর্মকর্তা আশরাফ গনির দেহরক্ষীদের প্রধান ছিলেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থার এক তদন্ত প্রতিবেদনে গনির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠে। সেখানে বলা হয়, তালেবান কাবুল দখল করার পর সেখান থেকে পালানোর সময় ১৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার সাথে করে নিয়ে যান গনি।
রোববার আফগানিস্তানের একটি গোপন স্থান থেকে ডেইলি মেইলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শারিফি বলেন, তিনি নিজ চোখে আশরাফ গনিকে বড় বড় ব্যাগে করে নগদ অর্থ নিয়ে যেতে দেখেছেন। শুধু তাই না, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও জোগাড় করেছেন তিনি। শারিফি জানান, ‘প্রেসিডেন্ট আসার আগে তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে মন্ত্রণালয়ের প্রহরায় নিয়োজিত সেনা সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেয়ার দায়িত্ব থাকত আমার ওপর। সেদিন আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেসিডেন্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, পরে শুনলাম তিনি সেখানে না এসে সোজা বিমানবন্দরে গেছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রীও পালিয়েছেন। প্রেসিডেন্টের সকল নিকটাত্মীয় আর সঙ্গী-সাথীরাও।’
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শারিফিকে খুঁজছে তালিবান, তার সন্ধান পেতে দশ লাখ ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি জানান, আশরাফ গনি কাবুল ছাড়ার আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ তুলে তাকে পৌঁছে দেয় এক ব্যক্তি। প্রাসাদের সিসিটিভি ক্যামেরায় এ ঘটনার রেকর্ড আছে, যা শারিফি জোগাড় করেছেন বলে দাবি করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্টকে তিনি পছন্দ করতেন, ফলে তার এ কর্মকাণ্ডে তিনি হতাশ বলেও জানান শারিফি। তিনি বলেন, ‘এই অর্থ কারেন্সি এক্সচেঞ্জ মার্কেটের। প্রতি বৃহস্পতিবার এ উদ্দেশ্যেই সেগুলো আনা হতো। কিন্তু এবার প্রেসিডেন্ট সেগুলো নিয়ে গেলেন। তিনি জানতেন কী ঘটতে যাচ্ছে, তাই তিনি সব অর্থ নিয়ে পালিয়ে যান।’
এর আগে আফগানিস্তানের জন্য পাঠানো সহায়তার অপব্যবহার নিয়ে মার্কিন সরকারের চলমান তদন্তের দায়িত্বে থাকা প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর জেনারেল) জন সপকো কংগ্রেসকে এ সপ্তাহের শুরুতেই জানান, পালানোর সময় গনি ও তার সঙ্গীরা বিপুল অর্থ সাথে করে এনেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছেন তারা। তবে প্রতিনিধি পরিষদের শুনানিতে ইন্সপেক্টর জেনারেল জন সপকো জানান, তাদের হাতে এখনো প্রমাণ নেই। আশরাফ গনি অবশ্য এ অর্থ চুরির অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন। রক্তপাত এড়াতেই অনানুষ্ঠানিকভাবে কাবুল ছেড়েছেন বলে দাবি তার। তার দেশত্যাগের পরেই কাবুল পুরোপুরি তালেবানের দখলে চলে যায়, যেখানে আর মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।