পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি ও অবরুদ্ধ গাজা ভূখন্ডে ইসরাইলের অবরোধ অবসানের লক্ষ্যে বৈঠক করেছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে দলটির রাজনৈতিক শাখার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিষয়ে হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরাইলের সাথে বন্দি বিনিময়ের সাথে সাথে গাজা থেকে অবরোধের অবসানের জন্য তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সাধারণ নির্বাচনে হামাস জয়ী হলেও ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ফাতাহের সাথে বিরোধ শুরু হয়। বিরোধের জেরে গাজায় হামাস ও পশ্চিম তীরে ফাতাহ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরস্পরকে নিজ নিজ নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে বহিস্কার করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ থেকে গাজায় একইসাথে ইসরাইল ও মিসর অবরোধ আরোপ করে। হামাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বিরোধ অবসান ও একতা প্রতিষ্ঠার জন্য দলটি সংকল্পবদ্ধ। এর আগে বুধবার ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়ের আলোচনায় কায়রোতে আসে ইসরাইলি প্রতিনিধি দল। মিসরের মধ্যস্থতায় হামাসের সাথে বন্দি বিনিময়ে ইসরাইল বৈঠকে বসলেও কোনো পক্ষই পরস্পরের শর্তে সম্মত না হওয়ায় আলোচনা ভেঙে যায়। বর্তমানে ইসরাইলের কারাগারে ৪০ নারী ও ২২৫ শিশুসহ চার হাজার আট শ› ৫০ বন্দি রয়েছে। অপরদিকে ২০১৪ সালে ইসরাইলের গাজায় আগ্রাসনের সময় হামাস দুই সৈন্যসহ চার ইসরাইলিকে অপহরণ করে। ইসরাইলি নাগরিকদের ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে বর্তমানে হামাস ও ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। এর আগে ২০০৬ সালে গাজা থেকে ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের সদস্যরা সীমান্তে দায়িত্বরত ইসরাইলি সৈন্য গিলাদ শালিতকে অপহরণ করেন। গিলাদ শালিতের মুক্তির জন্য হামাসের সাথে দীর্ঘ পাঁচ বছরের দর কষাকষির পর ২০১১ সালে এক হাজার ২৭ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে গিলাদ শালিতকে মুক্তি দেয়া হয়। আনাদোলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।