মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
খুব দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য এখন যেমন প্রায়ই বন্যা হয় বাংলাদেশে, তেমনই ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলেও ঘনঘন হত হড়পা বান (‘ফ্ল্যাশ ফ্লাড’)। পানির তোড়ে বানভাসি হয়ে যেত মঙ্গলের বড় বড় নদীগুলো আর তাদের অববাহিকা। বন্যায় ডুবে গিয়ে হারিয়ে যেত মঙ্গলের বিশাল বিশাল হ্রদগুলো। লাল গ্রহের সেই বিশেষ এলাকায় যার নাম- ‘জেজেরো ক্রেটার’।
নাসার পাঠানো সর্বশেষ রোভার ‘পারসিভের্যান্স’-এর পাঠানো বহু ছবি এই খবর দিয়েছে। নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলের হড়পা বানগুলো হত আরও ভয়াবহ। ভয়ঙ্কর। মাইলের পর মাইল এলাকা জুড়ে। তোলপাড় হয়ে যেত মঙ্গলগ্রহের বিশাল একটি অংশ। তার পৃষ্ঠভাগের উপরের স্তর (‘মার্শিয়ান সার্ফেস’)। সেই হড়পা বানগুলোর সংখ্যা ও ভয়াবহতা বেড়ে গিয়েছিল লাল গ্রহের জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে। ওই সব হড়পা বানের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪ থেকে ২০ মাইল বা ঘণ্টায় ৬ থেকে ৩০ কিলোমিটার।
হড়কা বানগুলোর এই প্রচণ্ড গতিবেগই মঙ্গলের উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো থেকে বিশাল বিশাল পাথরের চাঙড়গুলোকে নিয়ে এসে ফেলত জেজেরো ক্রেটারের বিশাল বিশাল নদীগুলোর অববাহিকায়। সেই পাথরের চাঙড়গুলোই পরে ওই এলাকার হ্রদগুলোকে ভরিয়ে দেয়। নাসার রোভার পারসিভের্যান্স গত ফেব্রুয়ারিতে পৌঁছয় জেজেরো ক্রেটারে। এখনও লাল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কি না তা জানতে, বুঝতে। সেটি জেজেরো ক্রেটারের বিস্তীর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ করে সেই সব এলাকার অসংখ্য ছবি পাঠিয়েছে।
ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হড়পা বানের ব্যাপকতা ও ভয়াবহতা বেড়ে গিয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৩৭০ কোটি বছর আগে। তখন মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল যথেষ্টই পুরু ছিল। তার ফলে লাল গ্রহে পানির অতলান্ত ভাণ্ডারও ছিল অটুট। কিন্তু তার পর খুব দ্রুত হারে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বায়ুমণ্ডল উবে যেতে শুরু করে মঙ্গলের। উবে যেতে শুরু করে পানিও। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।