Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঙ্গলের মাটি পৃথিবীতে আসবে ২০৩৩-এর মধ্যে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:০৬ এএম

মঙ্গলের মাটি সংগ্রহ করছে রোভার। খুব শিগগির তাকে সে সব নমুনা-সহ পৃথিবীর বুকে ফিরিয়ে আনতে চলেছে নাসা। নাসার বৈজ্ঞানিক দলের নেতৃত্বে সংগৃহীত নমুনার গঠন পরীক্ষা ও পরিমার্জনের কাজ চলছে বিজ্ঞানসম্মতভাবে। আপাতত লাল গ্রহের জেজেরো ক্রেটার-এ এই কাজ চালাচ্ছে পারসিভারেন্স রোভার।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহের নমুনা পৃথিবীতে আনার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। নাসা বলেছে, ২০৩৩ সালের মধ্যে তারা পৃথিবীতে মঙ্গল গ্রহের নমুনা নিয়ে আসবে।নাসা তার মঙ্গল গ্রহের নমুনা প্রত্যাবর্তন কর্মসূচীর জন্য প্রয়োজনীয় সমীক্ষাও করে ফেলেছে। জানা গিয়েছে আপাতত ‘কনসেপচুয়াল ডিজাইন ফেজ’–এর কাজ চলছে। অর্থাৎ, আসবে মঙ্গল ফেরত রোভার, তারই পরিকল্পনা।

এ অভিযানে ইতিমধ্যেই যুক্ত হয়েছে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি। অভিযানের জটিলতা কমাতে এবং ভবিষ্যতে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়াতে তাদের অবদানে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটনে নাসা সদর দফতরের সহযোগী প্রশাসক টমাস জুরবুচেন বলেছেন, ‘কনসেপচুয়াল ডিসাইন পর্বে কোনও অভিযান পরিকল্পনার প্রতিটি দিককে গভীরভাবে যাচাই করে দেখা হয়। পরিকল্পনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে, তার ফলেই জেজেরোতে পারসিভারেন্স রোভারের সাম্প্রতিক সাফল্য এসেছে। পাশাপাশি এ কথাও বলা যায় যে মার্স হেলিকপ্টারের আশ্চর্যজনক পারফরম্যান্সও ঘটেছে এরই জন্য।’

এই অত্যাধুনিক অভিযানের ক্ষেত্রে পারসিভারেন্স রোভারের কার্যকাল কতদিন স্থায়ী হতে পারে সে বিষয়টি সাম্প্রতিক গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারসিভারেন্সকেই ব্যবহার করা হবে মঙ্গলের নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য। তবে পারসিভারেন্স তা পৌঁছে দেবে মার্স অ্যাসেন্টট ভেহিকল এবং ইএসএ-র স্যাম্পল ট্রান্সফার আর্মের বিশেষ নমুনা বাহক মহাকাশযান কাছে।

মঙ্গলগ্রহের নমুনা ফেরত অভিযানে আর কোনও যান বা এর সঙ্গে যুক্ত ল্যান্ডার ব্যবহার করা হবে না। নমুনা আনতে দু’টি নমুনা পুনরুদ্ধার হেলিকপ্টার অবশ্য রাখা হবে। এগুলি ইনজেনুইটি হেলিকপ্টারের প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। ইনজেনুইটি হল একটি ছোট রোবোটিক কোণ্ডএক্সিয়াল রোটার হেলিকপ্টার যা নাসার অংশ হিসেবে মঙ্গল গ্রহে কাজ করে। এই হেলিকপ্টারটি এখন পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে ২৯ বার উড়েছে। সব থেকে বড় কথা এটি প্রত্যাশিত সময়কালের পরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। যদিও এই হেলিকপ্টারগুলি পরোক্ষ ভাবে মঙ্গলপৃষ্ঠ থেকে নমুনাগুলি সংগ্রহে সাহায্য করবে।


আগামী কয়েক বছরে মঙ্গল অভিযান সেরে পৃথিবীতে ফিরে আসবে ইএসএ-এর অরবিট এবং নাসা-র ক্যাপচার, কন্টেনমেন্ট (কোনও ক্ষতিকারক বস্তুকে নিয়ন্ত্রণে বা পরিসরের মধ্যে রাখার কাজ) এবং রিটার্ন সিস্টেমগুলি। মনে করা হচ্ছে আগামী ২০২৭ সালে ইএসএ এর রিটার্ন-টু-আর্থ অরবিটারে লঞ্চের করতে পারে। অন্যদিকে ২০২৮-এর মাঝামাঝি নাসা-এর নমুনা-আনয়নকারী ল্যান্ডার ফিরবে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে। নাসার হিসেব অনুযায়ী ২০৩৩ সালের মধ্যেই পৃথিবীতে ফিরে আসবে সব কিছু। সূত্র : নিউজ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মঙ্গলের মাটি পৃথিবীতে আসবে ২০৩৩-এর মধ্যে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ