পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়লেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার ধারা অব্যহত থাকায় ১০টা ৩৫ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর বড় মূলধনের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। ফলে ১১টা ১৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২৮ পয়েন্ট কমে যায়। অবশ্য কয়েক মিনিটের মধ্যে পরিস্থিতি আবার বদলে যায়। পতন থেকে বেরিয়ে একের পর এক প্রতিষ্ঠান আবার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। এতে ১২টা ৩০ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৫০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
সূচক এমন ঘুরে দাঁড়ানোর কারণে দিন শেষে বড় উত্থান হবে এমটাই আশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার ধারা ধরে রাখলেও সূচকের উঠা-নামায় বড় প্রভাব রাখা বেশকিছু বড় মূলধনের কোম্পানির শেয়ার দাম শেষ দিকে পড়ে যায়। ফলে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরিয়াহ্ ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৭টির। আর ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২ হাজার ৬৮১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৮৪ কোটি ৬ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ১৩৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৯৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাওয়ার গ্রীড।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বেক্সিমকো, জিপিএইচ ইস্পাত, সামিট পাওয়ার, বেক্সিমকো ফার্মা, এসএস স্টিল এবং অ্যাডভেন্ট ফার্মা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।