পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হৃদরোগ আর কোভিডের জটিলতা কাটিয়ে সাড়ে ছয় মাসের বেশি সময় পর গতকাল বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাজ শুরু করেছেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি দলের কেন্দ্রীয় দপ্তরেরও দায়িত্বে রয়েছেন। তার অনুপস্থিতি দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। গতকাল সকালে কাজে যোগ দিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমি আবার অফিস শুরু করেছি। আজকে (গতকাল) খুব ভালো লাগছে নিজের অফিসে অনেক দিন পর আসতে পেরেছি। অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি। সিঁড়ি বেয়ে উঠতে এখনও ‘একটু কষ্ট’ হয় রিজভীর, তারপরও নিয়মিত অফিসে আসার ইচ্ছা আছে তার।
তিনি বলেন, হার্টের সিভিয়ার অবস্থা হলো, তারপরে করোনার আক্রান্ত হলাম। দুইটা মিলে একটা কঠিন অবস্থা পার করেছি আমি। এখন আল্লাহর রহমতে অনেকখানি সেরে উঠেছি। তার অসুস্থতার সময়টায় দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ যারা নিয়মিত খোঁজ-খবর নিয়েছেন, পাশে থেকেছেন, সবার প্রতি কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন রিজভী। সেইসঙ্গে সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর প্রতিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ২১ দিন পর রুহুল কবির রিজভী আহমেদ আসার পর যেনো উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় দলীয় কার্যালয়ে। বিএনপির এই নেতা সকালে কার্যালয়ে আসার পর একে একে নেতাকর্মীরা জেনে যান। এরপরই একে একে তারা বিএনপি কার্যালয়ে ছুটে আসেন। তিনি যখন নয়াপল্টনে পৌঁছান তখন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম তাকে স্বাগত জানান। ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলায় উঠে নিজের চেম্বারে বসেন রিজভী। এরপর একে একে ছুঁটে আসেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইঁয়া, সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জারিফ তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, যুগ্ম সম্পাদক সাদরেজ জামান, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাউসারসহ মহানগর ও বিভিন্ন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ রুহুল কবির রিজভীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে আসেন। দুপুর ১১টার পর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তিনতলা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। উপরে জায়গা না পেয়ে শতাধিক নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও জড়ো হন।
বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা জানান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সকালে খবর পাওয়ার পর থেকেই নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন শুভেচ্ছা বিনিময় করতে।
সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অফিস করেন রিজভী। ওইদিন দলের একটি কর্মসূচি শেষ জ্বর অনুভব করায় কোভিড পরীক্ষা করেন। তখনই তার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর তাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক মাসের বেশি সময় তিনি আইসিইউতে ছিলেন।
নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম জানান, দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসার আগে রিজভী শান্তিনগরে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিছু পরীক্ষা সারেন। দলের অফিসে পৌঁছানোর পর কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।