Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কাবুলের তালেবানের সমর্থনে হাজারো মানুষের সমাবেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৪৬ পিএম

আফগানিস্তানে তালেবানের সমর্থনে অন্তত এক হাজার মানুষ সমাবেশ করেছেন। রোববার রাজধানী কাবুলের উত্তরের পাহাড়ি উপকণ্ঠের কোহদামান শহরের বড় একটি মাঠে এই সমাবেশ আয়োজিত হয়। সেখানে তালেবান নেতৃবৃন্দ এবং কমান্ডাররা বক্তব্য দেন।

সাত সপ্তাহ আগে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তারপর এই প্রথমবারের মতো রাজধানীতে এ ধরনের সমাবেশের আয়োজন করা হলো। রাজনৈতিকভাবে নিজেদের শাসন সুসংহত করার জন্য সাধারণ মানুষের সমর্থন প্রদর্শন করতেই রোববার তালেবানের পক্ষ থেকে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তবে এই সমাবেশে নারীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। শুধুমাত্র পুরুষরা এতে অংশ নেন। সমাবেশে থাকা লোকজন তালেবানের সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর আগে নারীরাও তালেবানের সমর্থনে সমাবেশ করেছিলেন।

সমাবেশে অ্যাসল্ট রাইফেল বহনকারী তালেবানের যোদ্ধাদের সম্পূর্ণ যুদ্ধসাজে সজ্জিত হয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। বক্তারা শ্রোতাদের সামনে সারি সারি চেয়ারে বসে বক্তৃতা করেন। কার্যক্রম শুরুর আগে পতাকা এবং রকেট লঞ্চার সহ ভারী অস্ত্র বহনকারী যোদ্ধাদের একটি মিছিল জনতার চারপাশে প্রদক্ষিণ করে। সাধারণ সমর্থকদের মধ্যে কেউ কেউ ঘরে তৈরি পোস্টার নিয়ে এসেছিলেন। অন্যরা তালেবানের লাল বা সাদা প্রতীকযুক্ত হেডব্যান্ড পরেছিলেন।

লোকজন আসতে শুরু করলে, তালেবানদের বিজয়কে সম্মান জানিয়ে গাওয়া সঙ্গীত সমগ্র এলাকায় প্রতিধ্বনিত হয়। একটি গানের কথা ছিল, ‘আমেরিকা পরাজিত, অসম্ভব, অসম্ভব - কিন্তু আসলে সম্ভব’। সমাবেশ থেকে কেউ কেউ তালেবানপন্থী স্লোগান দিচ্ছিলেন। কাছেই প্রায় ১০ জন সশস্ত্র যোদ্ধা একজন নিহত তালেবান কমান্ডারকে সম্মান জানিয়ে এবং ‘দেশকে মুক্ত করার কাজে আফগানিস্তানের ইসলামী আমিরাতের জন্য কোহদামানের জনগণের সমর্থন’ এর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে লেখা একটি বড় ব্যানারের নীচে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

তালেবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকেই লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল। এর আগে যখন ১৯৯০ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবান দেশের ক্ষমতায় ছিল তখন বেশ কঠোর নিয়ম জারি ছিল। তালেবানের পূর্বের শাসন ব্যবস্থা ফিরে আসে কিনা তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে। কিন্তু তালেবানের পক্ষ থেকে সবাইকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে।

তবে তালেবানের শাসন শুরুর পর থেকেই দেশটিতে অর্থনৈতিক সংকটসহ বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয় শুরু হয়েছে। তালেবানের নানা ধরনের আশ্বাসের পরও নারীদের পড়াশোনা কার্যত বন্ধ রয়েছেই দেশটিতে। সম্প্রতি তালেবানের নতুন সরকার গণমাধ্যমের ওপর ১১টি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মিডিয়া সেন্সরশিপের জন্যই এ নির্দেশনা। নতুন নির্দেশনা জারি হওয়ায় দেশটির গণমাধ্যমকর্মী, অধিকারকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কিত বলে খবর পাওয়া গেছে। সূত্র: ডন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ