বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রবিবারে নাটোরে সয়াবিন তেলের দাম ৭-৮ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। গত দুইদিন মরিচের দাম ছিল ১৪৫-১৬০ টাকা তা ঐ দিন বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। তাছাড়া অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দামও বেশি। কিছুতেই কমছে না। সব্জি, মাংস ও তেলের দাম। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চলছে কাঁচাবাজার। কৃষকের বেঁচে দেওয়া ফসলের দামের সাথে চূড়ান্ত ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যাপক তফাৎ পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু কোথাও পণ্যের লাগাম ধরার কোন ব্যবস্থা নেই। এ পর্যায়ে সব স্তরের মানুষেরা রয়েছে ব্যাপক ভোগান্তিতে। যারা কম বেতনের চাকুরী করে আবার যারা করোনাকালীন সময়ে চাকুরী হারিয়েছে সকলেই রয়েছে বিপাকে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে এখন দিশেহারা। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে সমস্ত ভোগ্যপণ্য বেশি প্রয়োজন সেগুলোরই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, মরিচ থেকে শুরু করে শাক-সব্জিরও দাম বেড়েছে। তাই প্রতিনিয়তই পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো যাদের দিন আনি দিন খাই অবস্থা।
নাটোরের স্টেশনবাজার ও নীচাবাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় এখানে চাল প্রতি ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা, মসুরের ডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা, চিনি কেজি প্রতি ৮২ টাকা, ৩০ পিচের ১ খাঁচি ডিম ২৫৫ টাকা, মরিচ কেজি প্রতি ২০০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা কেজি, পাতাকপি ৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, রসুন কৃষক পর্যায়ে মণ প্রতি ৬’শ টাকা তা খুচরা বাজারে মণ প্রতি ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কেজি প্রতি ১৫ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ বলেন আমি বেতন পাই ২০ হাজার টাকা। বাড়িভাড়া দেই সাড়ে ৬ হাজার টাকা, ২ ছেলে মেয়ের স্কুল ও প্রাইভেট টিউশন ফি দেই ৩ হাজার টাকা, চিকিৎসা খরচ লাগে আড়াই হাজার টাকা, যাতায়াত খরচ দেড় হাজার টাকা, বিদ্যুত খরচ ১২’শ টাকা, বাজার খরচ ৬ হাজার টাকা। বিভিন্ন জায়গায় বাকি থাকে। আমার বাসায় আত্মীয় স্বজন খুব একটা বেড়াতে আসেনা। জানেই যে খরচ করতে পারবো না। মা-বাবা আসলে চাল ডাল নিয়ে আসে। আবার কিছু টাকাও হাতে দিয়ে যায়। এই হলো অবস্থা। সব কিছুরই দামের উর্ধ্বগতি শুধু আমাদের বেতন বাড়েনা।
মুদি দোকানি তাইজুল বলেন শনিবার পর্যন্ত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৪২ টাকা তা রবিবার থেকে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
সব্জি বিক্রেতা বাচ্চু বলেন কাঁচা বাজারের কথা তো বলা যায় না। আমদানি বাড়লে সব সব্জির দাম আবার কমে যাবে। বৃষ্টি হলে অনেক জমি জলাবদ্ধ হয়। তাই মরিচসহ অন্যান্য সব্জির দাম একটু বাড়তিই হয়। কিছুদিনের মধ্যে আবার কমে যাবে।
তবে যে কোন অজুহাতে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা ও তৎপরতা কবে শেষ হবে এই জিজ্ঞাসা সকল মহলেরই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।