বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাটোরে বেড়েছে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম। অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চলছে কাঁচাবাজার। কৃষকের বেঁচে দেওয়া ফসলের দামের সাথে চূড়ান্ত ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যাপক তফাৎ পরিলক্ষিত হচ্ছে। কিন্তু কোথাও পণ্যেও লাগাম ধরার কোন ব্যবস্থা নেই। এ পর্যায়ে সব স্তরের মানুষেরা রয়েছে ব্যাপক ভোগান্তিতে। যারা কম বেতনের চাকুরী করে আবার যারা করোনাকালীন সময়ে চাকুরী হারিয়েছে সকলেই রয়েছে বিপাকে। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে এখন দিশেহারা। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে সমস্ত ভোগ্যপণ্য বেশি প্রয়োজন সেগুলোরই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি, ডিম, মরিচ থেকে শুরু করে শাক-সব্জিরও দাম বেড়েছে। তাই প্রতিনিয়তই পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো যাদের দিন আনি দিন খাই অবস্থা।
নাটোরের স্টেশনবাজার ও নীচাবাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় এখানে চাল প্রতি ৫৮ থেকে ৬৮ টাকা, মসুরের ডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা, তেল খোলা সোয়াবিন ১৪৫ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৭১০ টাকা, চিনি কেজি প্রতি ৮২ টাকা, ৩০ পিচের ১ খাঁচি ডিম ২৮০ টাকা, মরিচ কেজি প্রতি ১৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা কেজি, পাতাকপি ৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, রসুন কৃষক পর্যায়ে শণ প্রতি ৬’শ টাকা তা খুচরা বাজারে মণ প্রতি ২ হাজার টাকা। অর্থাৎ কেজি প্রতি ১৫ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বেসরকারী চাকুরীজীবী বলেন আমি বেতন পাই ২০ হাজার টাকা। বাড়িভাড়া দেই সাড়ে ৬ হাজার টাকা, ২ ছেলে মেয়ের স্কুল ও প্রাইভেট টিউশন ফি দেই ৩ হাজার টাকা, চিকিৎসা খরচ লাগে আড়াই হাজার টাকা, যাতায়াত খরচ দেড় হাজার টাকা, বিদ্যুত খরচ ১২’শ টাকা, বাজার খরচ ৬ হাজার টাকা। বিভিন্ন জায়গায় বাকি থাকে। আমার বাসায় আত্মীয় স্বজন খুব একটা বেড়াতে আসেনা। জানেই যে খরচ করতে পারবো না। মা-বাবা আসলে চাল ডাল নিয়ে আসে। আবার কিছু টাকাও হাতে দিয়ে যায়। এই হলো অবস্থা। সব কিছুরই দামের উর্ধ্বগতি শুধু আমাদের বেতন বাড়েনা।
মুদি দোকানি আবিনাশ বসাক বলেন সরকার চিনির দাম নির্ধারন করে দেয়ার পরেও সিন্ডিকেটের কারনে আমাদের ৭৬ টাকায় চিনি কিনে পাইকারী ৭৮ টাকায় বিক্রি করতে হয। অন্য দোকানে খুৃচরা বিক্রি করে ৮০ টাকায়।
ডিম বিক্রেতা আনোয়ার বলেন গত আগস্ট মাসেই ডিম বিক্রি করছি ১ খাঁচি ২১০ টাকায় এখন ২৭০ টাকায় কিনে ২৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। খামারে ডিম উৎপাদন ব্যাহত হওযার কারনেই এই অবস্থা।
তবে যে কোন অজুহাতে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি প্রবণতা ও তৎপরতা কবে শেষ হবে এই জিজ্ঞাসা সকল মহলেরই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।