মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর-পূর্ব চীনে তীব্র বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে লাখ লাখ বাড়ি-ঘর অন্ধকারে ডুবে গেছে। বন্ধ রয়েছে কল-কারখানা। ঝুঁকিতে রয়েছে কমপক্ষে একটি প্রদেশের পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। খবর প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিলিন, লিয়াওনিং এবং হেইলংজিয়াং প্রদেশে অপ্রত্যাশিত এবং নজিরবিহীন এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কোনো রকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে ঘটনার সূত্রপাত হলেও সোম এবং মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তা ব্যাপক আকার ধারণ করে।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে কয়লার অভাবেই এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বিদ্যুতের অভাবে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। কিছু এলাকায় ট্রাফিক লাইট এবং মোবাইলের ৩-জি সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুতের অভাবে দেশটির জিলিন প্রদেশে যে কোনো সময় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, লিয়াওনিং প্রদেশের এক কারখানায় বিদ্যুতের অভাবে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে ২৩ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। পরিস্থিতি বর্তমানে এমন হয়েছে যে, যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ আছে সেখানে দিনে আটবার পর্যন্ত লোডশেডিং করা হচ্ছে। শপিংমলের দোকানগুলোতে মোমবাতির আলো ব্যবহার করে বেচাকেনা করা হচ্ছে।
সংকটের পেছনে বিদ্যুতের যে এরকম ঘাটতি হতে পারে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আগেভাগে কিছুই জানানো হয়নি। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একটি ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স এই বিদ্যুৎ সংকটের কারণে চীনের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছে। তারা আশা করেছিল এ বছর চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু এখন তারা বলছে এই হার হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। সংকটের জন্য সারা দেশে কয়লার ঘাটতিকে দায়ী করা হচ্ছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কয়লার ব্যবহার কমানোর অঙ্গীকার করেছেন। যার ফলে স্থানীয় সরকারগুলোর ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এর সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। কারণ বিদ্যুতের জন্য চীন কয়লার ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল। চীনের একটি বিদ্যুৎ কোম্পানি সতর্ক করে বলেছে, কয়লার এ ঘাটতি আগামী বছরের বসন্ত পর্যন্ত চলতে পারে।
চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, লিয়াওনিং প্রদেশের এক কারখানায় বিদ্যুতের অভাবে ভেন্টিলেটর বন্ধ হয়ে ২৩ জন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চীনের মাইক্রোব্লগিং সাইট ওয়েইবোতে লিয়াওনিং প্রদেশের একজন হতাশ হয়ে লিখেছেন, ‘আমি সম্পূর্ণ বাকরুদ্ধ। কারণ পর পর চারদিন ধরে দিনে আটবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘প্রত্যেকদিন শপিংমলগুলো তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায় এবং দোকানগুলোতে মোমবাতির আলো ব্যবহার করা হচ্ছে।’ সূত্র : গ্লোবাল টাইস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।