মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাকাশে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য চীনের অভিযান এবং তাদের ক্রমবর্ধমান সামরিক দক্ষতা চলতি সপ্তাহে দেশের বৃহত্তম এয়ার শোতে প্রদর্শিত হবে। মঙ্গলবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর জুহাইয়ে শুরু হয়েছে দ্বিবার্ষিক এই এয়ার শো। করোনাভাইরাস মহামারী এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য সংঘাতের পটভূমিটিই এই ইভেন্টটি আয়োজিত হয়েছে।
এ আয়োজনে এভিয়েশন, মহাকাশ ও সামরিক খাতে চীনের স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিষয়টি দেখা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) সিনিয়র ফেলো ডগলাস ব্যারি বলেন, এমন সময় চীন এয়ার শো আয়োজন করছে, যখন বৈশ্বিক এয়ার শোয়ের সময়সূচী বিঘ্নিত হয়েছে। চীন সম্ভবত এটা দেখাতে চাইছে যে, তারা কোভিড-পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে।
কোভিডজনিত কারণে এ আয়োজন এক বছর পিছিয়েছে। এক বছর দেরিতে হলেও বিরাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে এয়ার শোয়ের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।এই শোয়ের মাধ্যমে স্থানীয় মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো নিজেদের অবস্থান জানান দিতে পারছে। পশ্চিমা সরবরাহকারী যেমন এয়ারবাস ও বোয়িং তাদের চীনভিত্তিক দল নিয়ে শোতে অংশ নিচ্ছে। অন্যদিকে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিজের দেশের মহাকাশ প্রযুক্তির উন্নয়নের দিকেও সর্বোচ্চ জোর দিচ্ছে চীন। কারণ তাদের সঙ্গে পশ্চিমের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে।
মিসাইল প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সাবেক মিলিটারি কমেন্টেটর সং জংপিং বলেন, পশ্চিম থেকে ক্রমাগত হুমকির মুখে রয়েছে চীন। তাই নিজের সামরিক শিল্পসংক্রান্ত, উড়োজাহাজ চলাচল ও মহাকাশ সক্ষমতা উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে দেশটিকে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ বেড়ে যাওয়ার কারণে বিদেশী পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানোর কাজে অনেক বেশি জোর দিচ্ছে চীন। কমার্শিয়াল এয়ারক্রাফট করপোরেশন অব চীনের তৈরি সি৯১৯ মডেলের উড়োজাহাজটির চলতি বছরই ছাড়পত্র পাওয়ার কথা রয়েছে। এটি তৈরি করতে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে তার বেশির ভাগই পশ্চিমা। তবে ধীরে ধীরে যেন চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এটি তৈরি করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এখন পর্যন্ত শতাধিক উড়োজাহাজ প্রদর্শনীর জন্য নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে আছে নতুন প্রজন্মের যাত্রীবাহী রকেট ও উচ্চক্ষমতার রকেট উটক্ষেপনে সক্ষম বাহনও। এছাড়া জে-১৬ যুদ্ধবিমানের জে-১৬ডি ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সংস্করণটি এয়ার শোয়ের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করবে। আবার এমন কিছু পণ্য প্রদর্শন করা হবে যেগুলো চীন রফতানি করতে চায়। যেমন এজি৬০০ মডেলের উড়োজাহাজ। এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উভচর বাহন বলে ধরা হয়। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা একাধারে অগ্নি নির্বাপক ও সমুদ্রে উদ্ধারকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
মার্কিন এমকিউ-৯ রিপারের আদলে তৈরি উইং লুং টু মডেলের সশস্ত্র ড্রোন এরই মধ্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সউদী আরব, মিসর ও পাকিস্তানের মতো দেশ এর ক্রেতা। এসবের মাধ্যমেই পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে প্রতিযোগিতায় নামছে চীন। ফেইহং নামের নতুন ধরনের ড্রোনও তৈরির কাজ চলছে। এয়ার শো উপলক্ষে প্রস্তুত হচ্ছে হেলিকপ্টার ও নতুন প্রজন্মের স্টিলথ ড্রোন। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।