মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের খ্যাতনামা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা মেং ওয়াংঝো নিজ দেশের উদ্দেশে কানাডা ত্যাগ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনা প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কানাডার পুলিশ। অবশেষ দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পর মুক্তি পেলেন তিনি। এর কয়েকঘণ্টা পর গ্রেফতার করা দুই কানাডার কূটনৈতিককে মুক্তি দিয়েছে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হুয়াওয়ের প্রধান অর্থনৈতক কর্মকর্তা মেং ওয়াংঝোকে আটক করা হয়। গত শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার আবেদন প্রত্যাহার করেন। মার্কিন ও চীনের কূটনৈতিকরা আলোচনার পর একটি সমঝোতায় আসার পর মেং ওয়াংঝোর মুক্তি দেওয়া হয়। শুক্রবার মার্কিন বিচার বিভাগ (ডিওজে) বলেছে , তারা এ মামলার স্থগিত করার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
এর অর্থ হলো, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেং’র বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে ডিওজে। আর তিনি যদি আদালতের শর্ত মেনে চলেন তাহলে মামলাটি পরে বাতিল হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, মেং এইচএসবিসি ব্যাংককে বিভ্রান্ত করে ইরানের কোম্পানি স্কাইকম’র সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেন করেন। যা দেশটির ওপর জারি করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে লঙ্ঘন করে।
মুক্তি পাওয়ার পর মেং সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার জীবনে অনেক বড় পরির্বতন ঘটে গেছে। এটা আমার সময়কে থামিয়ে দিয়েছে। প্রতিটি মেঘের আড়ালে সূর্যের আলো রয়েছে।’ একইসঙ্গে সারাবিশ্বের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া শুভেচ্ছা কখনো ভুলবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এএফপি নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, এর কিছুক্ষণ পরেই চীনের শেনজেন শহরগামী এয়ার চায়নার একটি ফ্লাইটে ওঠেন মেং ওয়াংঝো করেন। এ মামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় চীন। এতে করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের অবনতি ঘটনায়। এরপর দু’জন কানাডিয়ান কূটনৈতিককে আটক করে চীন। তবে অভিয়োগ উঠেছে মেং ওয়াংঝোকে আটক করার জবাবে দুই কানাডিয়ানকে আটক করা হয়, তবে এমন দাবি অস্বীকার করে চীন।
তবে মেং ওয়াংঝোকে মুক্তি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কানাডার দুই কূটনৈতিক মাইকেল স্পেভার এবং মাইকেল কোভরিগ’কে মুক্তি দেয় চীন। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছিল চীন। চীনের মেং ও কানাডার দুই কূটনৈতিককে মুক্তি দেওয়ার মধ্যে দিয়ে দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক আবারও বরফ গলতে শুরু করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।