নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এমন একটা পরিস্থিতি যে আসবে, আঁচ করা যাচ্ছিল। যাকে কেন্দ্র করে গত একদশকেরও বেশি সময় বার্সেলোনার সাফল্যের গল্প লেখা হয়েছে, সেই লিওনেল মেসি ছেড়ে গেছেন ক্লাব। তাও আবার যাওয়াটা অনেকটা আচমকা। নতুন করে গুছিয়ে উঠতে রোনাল্ড কোম্যান কতটা মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেন, সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। জয় তো দূরে থাক, গোলও ঠিকঠাক পাচ্ছে না মেসিবিহীন বার্সেলোনা।
গতপরশু রাতে কাদিজের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সেলোনা। ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ংয়ের লাল কার্ডে ২৫ মিনিটের বেশি সময় ১০ নিয়ে খেলায় একটা অজুহাত দাঁড় করাতে পারেন কোম্যান। কিন্তু আগের ৬৫ মিনিটে একবারও লক্ষ্যভেদ করতে না পারা কাতালানদের জন্য অশনিসংকেতই বটে। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পয়েন্ট হারালো বার্সেলোনা।
মেসির অভাব স্পষ্ট। আর সেটা হওয়ারই কথা। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এবারের গ্রীষ্মের দলবদলে পাড়ি জমিয়েছেন প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে। তার অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়, বার্সেলোনা জানে। আবার এটাও বলেছে, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে তারা প্রস্তুত। মাঠের পারফরম্যান্স কিন্তু সে কথা বলে না। বিশেষ করে গোলের খেলা ফুটবলে গোলটাই অনুপস্থিত। কাদিজের মাঠে গোলহীন থাকার আগে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষেও কোনও গোল পায়নি বার্সা। হারতে হয় ৩-০ গোলে।
লিগের আগের ম্যাচে গ্রানাদার সঙ্গে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। হ্যাঁ গোল পেয়েছে, কিন্তু সেটাও ৯০ মিনিটে গিয়ে। আর স্কোরশিটে নাম লেখা রোনালদ আরাউহো, যিনি কিনা একজন ডিফেন্ডার। অর্থাৎ, বর্তমান বার্সেলোনার ফরোয়ার্ডের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে। মেসি চলে গেছেন, আতোঁয়ান গ্রিজমানকে ধারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে, চোটে আক্রান্ত সার্জিও আগুয়েরো, আনসু ফাতি ও উসমান ডেম্বেলে। তাদের অনুপস্থিতিতে নতুন যোগ দেওয়া মেমফিস ডিপাই ও লুক ডি ইয়ং কিছুই করতে পারছেন না।
কাদিজের মাঠ থেকে গোলশূন্য ড্র করে ফিরে পয়েন্ট হারায় বার্সেলোনা। ৫ খেলায় তৃতীয় ড্রতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে বার্সেলোনা। শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এখনই পিছিয়ে আছে ৭ পয়েন্টে। এক ম্যাচ বেশি খেলা লস ব্ল্যাঙ্কোদের পয়েন্ট ১৬।
এদিকে বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তার সঙ্গে টানাপোড়েন চলছে কোচ কোম্যানের। মাঠেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না কাতালান ক্লাবটির। একের পর এক পয়েন্ট হারিয়ে বিপর্যস্ত লিওনেল মেসির সাবেক ক্লাব। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে গত রাতে কাদিজের বিপক্ষে বার্সার দুঃস্বপ্নের ম্যাচ। নিষ্প্রাণ ড্র ম্যাচটি উত্তাপ ছড়িয়েছে বার্সার দেখা দুটি লাল কার্ডে। এর একটি আবার দেখেছেন কোচ কোম্যান! সব মিলিয়ে বার্সার হতশ্রী পারফরম্যান্সে ভীষণ চাপেই আছেন তিনি।
অবশ্য ম্যাচ শেষে লাল কার্ড নিয়ে ক্ষোভ ঝরেছে কোম্যানের মুখে। ৫৮ বছর বয়সী ডাচ কোচের দাবি, কার্ড পাওয়ার মতো কিছু করেননি তিনি। কোমানের আগে জোড়া হলুদ কার্ডের খপ্পরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়াংকে। ম্যাচের নানা মুহ‚র্তে মাঠে তাই কোচকে বেশ অগ্নিশর্মা দেখা যায়।
এ নিয়ে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোম্যান বলেছেন, ‘ধীরস্থির থেকেই আমি রেফারির সঙ্গে কথা বলছিলাম। আমি স্রেফ চতুর্থ অফিশিয়ালকে বলেছিলাম মাঠে দুটি বল। এ দেশে কোনো কারণ ছাড়াই মাঠ থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমি তাকে (রেফারিকে) জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটা (লাল কার্ড) কেন? সে জানাল, আমার আচরণ পছন্দ হয়নি। যাই হোক, এটা আমার সমস্যা নয়।’
গ্রানাদার পর কাদিজের বিপক্ষেও পয়েন্ট হারালো বার্সা। তবে কাদিজের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এল চিরিংগিতোয় দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোম্যানকে সমর্থন দেওয়ার কথা বলেন বার্সেলোনা সভাপতি। সঙ্গে এটাও মনে করিয়ে দেন, ইতিবাচক ফলাফলের পাশাপাশি খেলার ধরনেরও প্রভাব থাকবে ক্লাবে কোম্যানের থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্তে, ‘কাদিজ ম্যাচের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কোম্যানের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত হবে না। তিনি বার্সেলোনার কোচ এবং আমরা চাই তার জন্য সবকিছু ভালো হোক। কেবল কোম্যান নন, কোচদের (ভবিষ্যৎ) স্পষ্টতই দলের ফলাফল দিয়ে নির্ধারিত হয়। আর বার্সেলোনায় এটা খেলার ধরন দ্বারাও নির্ধারিত হয়। কিন্তু কোম্যান আমাদের কোচ এবং আমরা তার পাশে আছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।