মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার ইস্যুতে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মনে করেন, এক্ষেত্রে জো বাইডেনের অন্যায় সমালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, ‘সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি ছিল তার সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত কাজ।’
ইমরান খান বলেন, ‘সেনা প্রত্যাহারের কারণে দেশে এবং বাইরে জো বাইডেনের যে সমালোচনা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কারণ সিদ্ধান্তটি কার্যকর ও বুদ্ধিদীপ্ত ছিল।’ বাইডেনের সাথে যোগাযোগ আছে কি না, এ প্রশ্নের ইমরান জবাবে ইমরান বলেন, ‘সরকার পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। আফগানিস্তানের ব্যাপারে আমাদের নিরাপত্তা প্রধানরা আলোচনা করছেন।’ তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে তারা কী করতে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বিত পরিকল্পনা আছে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সাহায্য বন্ধের প্রেক্ষিতে মানবিক সঙ্কট দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশেষ কৌশল প্রণয়নের আহ্বান জানান ইমরান। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আফগানিস্তানে অনাকাক্সিক্ষত কিছু হলে শরণার্থী সমস্যার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রের এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে, কারণ তারা আফগানিস্তানে ২০ বছর ধরে ছিল।’
ইমরান খান বলেন, ‘আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণ করার একমাত্র কারণ ছিল সন্ত্রাসবাদ। যদি আফগান মাটি আবার সন্ত্রাসীদের স্থান হয়ে যায় তাহলে শেষ পর্যন্ত কী অর্জন হবে? তাই আফগানিস্তানকে অন্য কোনো সঙ্কটের দিকে যেতে দেওয়া আমাদের জন্য উচিত হবে না।’ তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে আশরাফ গনির পরাজয় নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মার্কিন সিনেটরদের মন্তব্যে গভীরভাবে আঘাত পেয়েছি আমরা। কারণ পাকিস্তান এমন একটি দেশ, যে আমেরিকার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে।’
পাক-প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদেরকে এ জোটের অংশ হতে বলা হয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধে জড়ানোর কোনো কারণ ছিল না পাকিস্তানের। ৯/১১ এর সাথে পাকিস্তানের কোন সম্পর্ক ছিল না। ওই ঘটনায় কোনো পাকিস্তানি জড়িত ছিল না। অথচ এখন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে কোরবানির পশু বানানো হচ্ছে, যা খুবই বেদনাদায়ক।’ পাকিস্তান মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তালেবানকে সাহায্য করেছে, এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘যদি আমরা এটি বিশ্বাস করি, তাহলে এর অর্থ হবে যুক্তরাষ্ট্র এবং সমগ্র ইউরোপের চেয়ে শক্তিশালী পাকিস্তান।’
ইমরান খান বলেন, ‘মূলত নিজেদের অযোগ্যতা, দুর্নীতি ঢাকতেই আশরাফ গনির সরকার এ অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ তিনি আরও জানান যে, আফগানিস্তানের সব প্রতিবেশীর সঙ্গে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে পাকিস্তান। নতুন আফগান শাসকদের একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন যে, এটিই দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি। ইমরান বলেন, ‘তালেবানকে একটি বাস্তবধর্মী ও স্থিতিশীল দেশের জন্য উৎসাহিত করা ছাড়া বিশ্বের কাছে আর কোনও বিকল্প নেই।’ সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।