মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাল ২০ সেপ্টেম্বর কানাডায় অনুষ্ঠিত হবে ফেডারেল নির্বাচন। এর আগেই শুরু হয়েছে অগ্রিম ভোট। তিন দিনব্যাপী এই ভোটে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টারে, বিল্ডিংয়ের হল রুমে বা লবিতে ভোট গ্রহণ চলবে।
কানাডায় পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে। কিন্তু আগস্ট মাসের মাঝামাঝিতে হুট করেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন কানাডার প্রধামন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো। উদ্দেশ্য পার্লামেন্টে নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন।
এর আগে ২০১৯ সালের ভোটে ৩৩৮টি আসনের মধ্যে ট্রুডোর দল জয়ী হয় ১৫৫টিতে। এতে কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হয়। জোটের সরকার হওয়ায় অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হতো। সংসদে আনা বিল বা প্রস্তাব আটকে যেত। এ অবস্থায় গত আগস্টে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন জাস্টিন ট্রুডো।
তবে এবারের নির্বাচন ট্রুডোর জন্য যতটা সহজ ভাবা হচ্ছিলো তা হচ্ছে না। যদিও সবগুলো প্রাক নির্বাচনী জরিপেই এগিয়ে আছেন জাস্টিন ট্রুডো। তবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এরিন ওতুলের কনজার্ভেটিভ পার্টির সঙ্গে ব্যবধান সামান্যই। জরিপের পূর্বাভাস বলছে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ৩২ শতাংশ এবং কনজার্ভেটিভ পার্টি ২৯ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে। এছাড়া বামপন্থী এনডিপি পেতে পারে ২১ শতাংশ ভোট। তবে জার্নাল ডি মন্ট্রিল এবং ন্যাশনাল পোস্টের সবশেষ জরিপে লিবারেলের চেয়ে ১ শতাংশ এগিয়ে রাখা হয়েছে বিরোধী কনজার্ভেটিভদের। এতে কনজার্ভেটিভরা ৩৩ শতাংশ এবং লিবারেল পার্টি ৩২ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচনের সিদ্ধান্তে প্রচন্ড সমালোচনার মুখে রয়েছেন লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো। তাকে লক্ষ্য করে নির্বাচনী প্রচারকালে পাথর নিক্ষেপের মত ঘটনাও ঘটেছে।
কানাডার নির্বাচনী প্রচার কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। মিডিয়ায় চলে প্রচারণা, জরিপ এবং ভোটযুদ্ধ। এ পর্যন্ত তিনটি টিভি নির্বাচনী লড়াই হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর মন্ট্রিয়লে, ৮ সেপ্টেম্বর ভ্যাংকুভারে এবং ২ সেপ্টেম্বর কুইবেকে। প্রথম বিতর্কের সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেন সাংবাদিক পিয়ের ব্রুনেউ। কুইবেকের প্রভাবশালী গণমাধ্যম টিভিএ-এর আয়োজনে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বিতর্ক কানাডার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মনোভাব এবং চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, এই বিতর্ক এ মাসের ২০ তারিখে ফেডারেল নির্বাচনে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলবে। এ নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেন লিবারেল পার্টির জাস্টিন ট্রুডো, ব্লক কুইবেকের ইয়েভেস ফ্রাংকোইস ব্লাঞ্চেত, এনডিপি’র জগমিত সিংহ এবং কনজারভেটিভ পার্টির এরিন ও’তুলে।
সর্বশেষ জরিপে দেখা যাচ্ছে, লিবারেল ৩২ দশমিক ৯ শতাংশ (১৪২ আসন) আর কঞ্জারবেটিভ ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ অর্থাৎ যথাক্রমে ১৪২ আসন এবং ১৩৪ আসনে অবস্থান করেছে। আবার সিবিসির জরিপে কঞ্জারভেটিভ এগিয়ে আছে দশমিক ২ শতাংশে।
উল্লেখ্য, কানাডায় ফেডারেল নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বেশি আটজন বাংলাদেশি প্রার্থী! তারা হলেন, অন্টারিও প্রদেশের অশোয়া আসনে সরকারি দল লিবারেল থেকে আফরোজা হোসেন, টরন্টোস্থ স্কারবোরো সাউথ-ওয়েস্ট আসনে কনজার্ভেটিভ পার্টি থেকে মহসিন ভূঁইয়া, এনডিপি থেকে স্কারবোরো সেন্টার আসনে ফাইজ কামাল, আলবাট্রার এনডিপি থেকে খালিস আহমেদ তমাল এবং ক্যালগরি থেকে এনডিপির গুলশান আক্তার, মেট্রো ভ্যাঙ্কুভারের সোরি-নিউটন আসনে কনজারভেটিভ পার্টির সৈয়দ মহসিন, নায়গ্রা ওয়েস্ট আসনে এনডিপির নামির রহমান এবং অশোয়া থেকে গ্রিন পার্টির সানি মীর। সূত্র : সিএনএন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।