মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে। এই সাফল্যে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের শান্তি চুক্তির সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তালেবানের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। এবার তিনি জায়গা পেয়েছেন ২০২১ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায়। একই তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও।
এই ১০০ ব্যক্তির প্রোফাইল প্রকাশ করেছে টাইম। বারাদারের পরিচিতিতে বলা হয়েছে, তালেবানের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন তিনি। এ ছাড়া তালেবানের প্রভাবশালী সামরিক নেতাও তিনি। টাইমের জন্য বারাদারের এ পরিচিতিমূলক লেখা পাকিস্তানি সাংবাদিক আহমেদ রশিদ লেখেন। টাইম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতায় মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন বারাদার। আর এ সমঝোতার ওপর ভিত্তি করেই আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসতে পেরেছে তালেবান। বলা হয়ে থাকে, তালেবানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে থাকেন বারাদার। আফগানিস্তানের সাবেক সরকারি কর্মীদের জন্য যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে, সেই সিদ্ধান্তও তিনি নেন। কাবুলে তালেবানের প্রবেশের সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে তালেবানের যোগাযোগ ও সফরেও তিনি ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে যাঁরা কাজ করবেন, তাদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বারদারকে। তবে একটি প্রশ্ন তাকে নিয়ে থাকছে, তা হলো আফগানিস্তান থেকে মার্কিনদের বিদায়ে যিনি কাজ করেছেন, তিনি তালেবানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারবেন কি না।
তালেবান যাত্রার শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন বারাদার। তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ভগ্নিপতি তিনি। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, উরুজগান প্রদেশে ১৯৬৮ সালে বারাদারের জন্ম। তিনি বেড়ে উঠেছেন আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে। ১৯৮০ দশকে অন্যান্য তালেবান নেতার মতো তিনিও মুজাহিদিনে যোগ দেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনারা ফিরে গেলে তিনি কান্দাহারে ফিরে যান এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ১৯৯০ দশকের শুরুতে তালেবান প্রতিষ্ঠায় মোল্লা ওমরকে সাহায্য করেন তিনি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন এ সরকারে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বারাদার। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে হামলা চালালে দেশ ছেড়ে পালান তিনি। এরপর ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন বারাদার।
টাইম ম্যাগাজিনে ২০২১ সালে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় উঠে এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। টাইম ম্যাগাজিনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নিয়ে একটি লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, হাওয়াই চটি পায়ে সাদা শাড়ি পরা মমতা আপসহীন নেত্রী হিসেবে এক পরিচিত মুখ। কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য এর আগেও তিনি পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সম্মান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়েও প্রথম সারিতে তিনি। তিনি শুধু দলের নেত্রী নন, তিনিই একটি দল। এর আগে ২০১২ সালেও টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালীর তালিকায় উঠে এসেছিল মমতার নাম। আপসহীন লড়াইয়ের কারণে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা। সেই বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল রয়েছেন। আর এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মমতার দল ২৯৪ আসনের মধ্যে ২১৩টি আসন পেয়ে রেকর্ড করেছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।