মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালেবানরা দ্রুত আফগানিস্তান দখল করার পর এই অঞ্চলের আধিপত্যের খেলায় ভারতের অবস্থান ইতিমধ্যেই নড়বড়ে হয়ে গেছে। সেইসাথে, পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে আফগানিস্তানে ভারতের করা বিশাল বিনিয়োগ এখন হুমকির সম্মুখীন। এর মধ্যে, তালেবানদের পাঞ্জশির উপত্যকা দখলকে আফগানিস্তান নিয়ে ভারতের ভূ-রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কফিনের শেষ পেরেক হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
ভারতের জন্য এখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানকে ব্যবহার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পাঞ্জশিরের পতনের পর এর সুদীর্ঘ প্রতিরোধের রহস্যও প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এতদিন ধরে সেখানে ভারত তালেবান বিরোধী যুদ্ধবাজদের জোট ‘নর্দান অ্যালায়েন্স’কে ক্রমাগত সমর্থন দিয়ে আসছিল, যা এখন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, ‘লজ্জাজনক নীরব মৃত্যু’ ঘটেছে পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়ে আসা ভারতীয় নেটওয়ার্কের, যা ভারতের জন্য কৌশলগত ধাক্কা এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি।
ভূ-রাজনৈতিক খেলা থেকে ছিটকে পড়ার ভারত পাকিস্তান এবং তালেবানদের বিরুদ্ধে বানোয়াট প্রচারণার চালিয়ে তার পক্ষে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক জনমত তৈরির চেষ্টা করছে। সম্প্রতি, কাবুলে পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভে শত শত প্রতিবাদকারীর তথাকথিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে ভারত। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিল ৫০ থেকে ৭০ জন লোক নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পিত তৎপরতা।
এছাড়াও, পাঞ্জশির প্রদেশে বিক্ষোভের সমর্থকরা পাকিস্তানকে তালেবানদের পাঞ্জশিরের জয়ের জন্য বিমান সরবরাহের অভিযোগ আনে। ভারতীতের ইন্ধনপ্রাপ্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত যুদ্ধবিমানের ভুয়া ছবি প্রচার করা হয়। বিক্ষোভের ঘটনার আরেকটি সংস্করণ হ’ল, প্রতিবাদকারীরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের দাবি করেছিল, নারী-অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছিল এবং তাদের কোন সমাবেশই স্পষ্টভাবে তালেবানবিরোধী ছিল না। তবে, তারা তাদের প্রচারিত সবকটি কাহিনীতে কেবল একই দায়মুক্তি প্রচার করে, ‘আমাদের চ্যানেল প্রতিবাদকারীদের বর্ণিত দাবী স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।’
বর্তমান প্রেক্ষাপটে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে সম্পূর্ণভাবে হতাশ করার পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং তাকে একটি অবিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে দেখা হয়েছে, যা মার্কিন প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধে দেশটি তার সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তির মিথ্যা ভাবমূর্তি তুলে ধরেছিল, যা এখন বিশ্রিভাবে কলঙ্কিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারত এই অঞ্চলে ভবিষ্যতের যে কোনো ধরনের ভূমিকার জন্য তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। সূত্র : ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।