মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অতীতের মতোই আফগান জনগণের পাশে থাকতে চায় ভারত। আফগানিস্তানে মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জাতিসংঘের ওই মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করেন মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাস।
জয়শঙ্কর বলেন, জাতিসংঘ আফগান সঙ্কটে যে ভূমিকা পালন করছে তাতে ‘সেন্ট্রাল রোল’ বা কেন্দ্রীয় ভূমিকায় সমর্থন থাকবে ভারতের। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মুখে অতীতের মতোই আফগান জনগণের পাশে থাকতে আগ্রহী ভারত। এর দু’দিন আগে জয়শঙ্কর সাক্ষাৎ করেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। সেখানে আফগান সঙ্কট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলুশন ২৫৯৩ এর গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। এর দু’দিন পরে তিনি পরিস্থিতির বিষয়ে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডঅ্যাবল কনসার্ন’ বা বোধগম্য উদ্বেগ তুলে ধরেন।
জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে জয়শঙ্কর আবারও ওই রেজ্যুলুশনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ভূমিকা অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। এ সময় পাকিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর চেয়ে বহুপক্ষীয় একটি প্লাটফর্ম সবসময়ই অধিক কার্যকর। এর মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক ঐকমত এবং সমন্বিত কর্মসূচি উৎসাহিত হয়।
জয়শঙ্কর উল্লেখ করেন যে, ভারত আফগানিস্তানের ৩৪ টি প্রদেশে বিস্তৃত প্রায় ৫০০ টি উন্নয়ন প্রকল্পে ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। তিনি বলেন, ‘অতএব এটি অপরিহার্য যে মানবিক সহায়তা প্রদানকারীদের আফগানিস্তানে নিরবিচ্ছিন্ন, সীমাবদ্ধ এবং সরাসরি প্রবেশাধিকার দিতে হবে। একবার ত্রাণসামগ্রী সেই দেশে পৌঁছে গেলে, বিশ্ব স্বাভাবিকভাবেই আফগান সমাজের সকল অংশে মানবিক সহায়তার একটি বৈষম্যহীন বিতরণ আশা করবে।’
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির ইতি ঘটানোর সমঝোতা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় জাতিসংঘের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ এবং কাতারভিত্তি তালেবানদের রাজনৈতিক অফিসের মাধ্যমে। এর সঙ্গে ইরান, সউদী আরব ও অন্যরা বিশেষ দূতের মাধ্যমে সমঝোতা প্রক্রিয়া চালাতে থাকে। সঙ্গে যুক্ত হয় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী কিছু সদস্য। তারা তালেবানদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সমাধানের উপায় বের করে আনেন।
কিন্তু জাতিসংঘকে ‘সেন্ট্রাল রোল’ দেয়ার জন্য জয়শঙ্করের যে আহ্বান তাতে আফগানিস্তানে গৃহীত পদক্ষেপকে পশ্চাতে নিয়ে গিয়েছে। এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে ভারতের আফগান নীতির প্রতিফলন ঘটেছে, যেটা ছিল ১৯৭৯ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত দখলদারিত্বের সময়। তখন জাতিসংঘের উদ্যোগে ভারত ছিল চ্যাম্পিয়ন। সূত্র: দ্য কুইন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।