মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের নতুন সরকারের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ক ভালো করার বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এবার পাকিস্তান সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাথে বৈঠকে বসতে পারেন পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে পাকিস্তানের এক সরকারি কর্মকর্তা এমনটাই দাবি করেছেন।
জুলাইয়ের শেষের দিকে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে হতে চলেছে ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’ (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলন। সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ওই বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা। ওই বৈঠকের ফাঁকেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দিন নির্দিষ্ট না হলেও ওই সংবাদমাধ্যমটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ২৭ অথবা ২৮ জুলাই বৈঠক হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই সেই আলোচনায় উঠতে চলেছে কাশ্মির প্রসঙ্গ। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ নিয়ে এখনো কিছু বলেনি।
জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রত্যাহার করেছিল পাকিস্তান সরকার। তার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু গত এপ্রিলে ইমরান খান সরকার পড়ে যাওয়ার পরে পাকিস্তানে তৈরি হয় নতুন জোট সরকার। শুরু থেকে সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের সাথে সম্পর্ক শোধরানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন। কাশ্মির সমস্যার সমাধানের উপরেও জোর দেন তিনি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বেনজ়র ভুট্টোর পুত্র বিলাওয়ালও ভারতের সাথে আলোচনার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কাশ্মিরকেই অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছেন তিনি। সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়েও ওই দেশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সাথে কাশ্মির নিয়ে আলোচনা করেন বিলাওয়াল।
ভারত সরকারের তরফে এ নিয়ে মুখ খোলা না হলেও সম্প্রতি জয়শঙ্কর এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন পড়শি দেশের সাথে আলোচনায় বসতে তার আপত্তি নেই। তার কথায়, ‘আপনাকে কোনো বৈঠকে আসতে বলা হলো, আর আপনি নিজে থেকেই ভালো পোশাক পরে সেখানে এলেন সেটা এক বিষয়। আর আমি আপনার বাড়ি গিয়ে আপনার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যদি আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসি, সেটা তো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কোনো পড়শি দেশ যদি বলে আমরা সীমান্তে সন্ত্রাস জারি রেখে আলোচনায় বসব, তা হলে সেই বৈঠকে যেতে আমার আপত্তি আছে।’
আগামী সেপ্টেম্বরে এসসিও-র রাষ্ট্রপ্রধান পর্যায়ের বৈঠকও রয়েছে। উজবেকিস্তানেরই সমরখন্দে ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর ওই বৈঠক হওয়ার কথা। যেখানে অংশ নেয়ার কথা মোদির। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনেরও ওই শীর্ষ সম্মেলনে যাওয়ার কথা। যাবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শরিফও। সেখানে শরিফ কাশ্মির প্রসঙ্গ তুলবেন বলে আগেভাগেই বার্তা দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান সরকার।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।