পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের কাছে বাংলাদেশের সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে কৌশলী জবাব দিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, এটার উত্তর আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ড. এ কে আব্দুল মোমেন) দেবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আধা ঘণ্টার কম সময় হওয়া বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মোমেন-জয়শঙ্কর। সাংবাদিকরা র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ঢাকার সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জয়শঙ্কর সংক্ষেপে বলেন, এটার উত্তর আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেবেন। এ সময় পাশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। র্যাব ইস্যু ছাড়াও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে কোনো মন্তব্যই করেননি জয়শঙ্কর।
যৌথ সংবাদ সম্মেনে তিনি বলেন, তিনি এবার ঢাকায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষ থেকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানাতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সুবিধাজনক সময়ে দিল্লি সফর করবেন। তার সফরের সময়ে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শক কমিটির সভাও অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, এ অঞ্চলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বাণিজ্য সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়টি বিবিআইএন (বাংলাদেশ-ভ‚টান-ইন্ডিয়া-নেপাল) ফেমওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কের সোনালী অধ্যায় চলছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিদম্যান বড় বড় ইস্যুর সমাধান হয়েছে। ছোট-খাট ইস্যুগুলোরও সমাধান হবে। এর আগে র্যাবের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেন জানিয়েছিলেন। সেই সহযোগিতা কিভাবে করবে ভারত জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকেই প্রশ্ন করার পরামর্শ দেন।
এর আগে বেলা ২টা ১০ মিনিটে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহন করা ভারতের বিশেষ বিমান ঢাকায় অবতরণ করে। কুর্মিটোলা বঙ্গবন্ধু বিমান ঘাঁটিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ঢাকায় পৌঁছেই এস জয়শংকর গণভবনে যান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এ সময় তিনি তাকে ভারত সফরের জন্য সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। পরে তিনি গণভবন থেকে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আসেন। এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। বৈঠকের পর এখানেই যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিকে গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে র্যাবের উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তার জন্য ভারত বাংলাদেশের কাছ থেকে কোন অনুরোধ পেয়েছে কি’না জানতে চেয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, এই মুহূর্তে ভারতের পররাষ্টমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ঢাকায় রয়েছেন। ফলে দিল্লিতে বসে বিষয়টা নিয়ে কোন মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। আগে থেকেই এ বিষয়ে ভারত কোন অনুরোধ পেয়েছিল কি’না, বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হলো কিনা? সেটা বলাটা এখন ঠিক হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠকটা তো আগে হোক। তারপরে না হয় দেখা যাবে আমরা কোনও ডিটেলস শেয়ার করতে পারি কিনা! তবে হ্যাঁ, আমরাও সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট দেখেছি যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ধরনের একটা মন্তব্য করেছেন।
সেই সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র যোগ করেন, ‘তবে এটাও বলার যে সত্যিই কোনও দেশ যদি আমাদের এরকম অনুরোধ জানিয়েও থাকে এবং তার ভিত্তিতে আমরা কোনও পদক্ষেপ নিয়েও থাকি সেটা বোধহয় আমরা প্রকাশ্যে নাও জানাতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।