বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত বরিশালের গৌরনদীর সকল ইউপি সমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠানের আড়াই মাস পরে উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঘমারা বড় দুলালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলমারিতে ব্যালট পেপার ও ব্যালটের মুড়ি পাওয়ার ঘটনায় বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গৌরনদী উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সোমবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদারকে আহবায়ক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল জলিলকে সদস্য সচিব ও উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আবুল বাশারকে সদস্য করে ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গৌরনদী উপজেলার ইউএনও বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, ওই ভোট কেন্দ্রের কিছু ব্যালট পেপার ও দুই’শ ব্যালটের মুড়ি পাওয়ার ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই আমরা ধারনা পাওয়া যাবে সেখানে ভোট গ্রহণে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়েছে কিনা। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে এ ব্যাপারে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করোনার প্রভাবে দীর্ঘ প্রায় ১৭ মাস বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাঘমারা বড় দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার থেকে শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু হয়। ওইদিন দুপুরে বিদ্যালয়ের স্টিলের আলমারি খুলে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ খান আলমারির ভেতরে গত ২১জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ব্যবহৃত ওই বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের কিছু ব্যালট পেপার ও দুই’শ ব্যালটের মুড়ি দেখতে পান।
এরপর প্রধান শিক্ষক তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিসহ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয়দের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। এলাকাবাসী জড়ো হয়ে নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন ওই ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী হোসনাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউল ইসলামের বিরুদ্ধে।
বার্থী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী ও সাবেক ইউপি সদস্য খায়রুল আহসান খোকন অভিযোগ করে বলেন, বিগত নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার পেতে তিনি উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও তার অভিযোগ আমলে নেয়নি। এখন বিদ্যালয়ের আলমারির ভেতরে ব্যালট পেপার ও ব্যালটের মুড়ি পাওয়ার ফলে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত সত্য বলেও তিনি দাবী করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।