নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৭ সালে ১২তম দল হিসেবে টেস্ট স্ট্যাটাস দেয়া হয় আফগানিস্তানকে। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার অনেক আগে থেকে দুর্দান্ত ছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। ২০০১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে প্রথম সদস্য পদ দেয় আইসিসি। সোভিয়েত যুদ্ধের সময় পাকিস্তানে আশ্রয় নেয়া মানুষের মাধ্যমে আফগানিস্তানে ক্রিকেটের হাতেখড়ি হয়। এরপর তাদের উত্থান এত দ্রুত হয় যে ২০১৭ সালে টেস্টের মর্যাদা পেয়ে যায় তারা। কিন্তু ক্রিকেট বিশ্বের চমক আফগানিস্তান এখন টেস্ট স্ট্যাটাস হারানোর আশঙ্কায় আছে, নারী দল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। দেশটির নতুন শাসক তালেবান জানিয়েছে তারা মেয়দের পেশাদার খেলায় অংশ নিতে দেবে না।
তবে ২০১৭তে যখন আফগানদের টেস্ট স্ট্যাটাস দেয়া হয় তখন তাদের কোন নারী দল ছিল না। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী টেস্ট স্ট্যাটাস পেতে হলে অবশ্যই নারী দল থাকতে হবে। কিন্তু নিজেদের নিয়মই তখন শিথিল করেছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তাই এখন প্রশ্ন ওঠছে নারী দল নিয়ে কেন তাদের উপর চাপ দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া বা ক্রিকেটের অন্য মোড়লরা। এটিকে অনেকে রাজনৈতিক বিষয় হিসেবেই দেখছে। মূলত আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা নেয়ায় অস্ট্রেলিয়া বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে।
আফগানিস্তানে প্রথম ২০১০ সালে মেয়েদের জাতীয় দল গঠন করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে সে দল বিলুপ্ত করে দেয়া হয় পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের আমলেই। আবার এ বছরের শুরুতে গঠন করা হয় মেয়েদের জাতীয় দল। যেখানে ২৫ নারী ক্রিকেটারকে কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় আনা হয়। যাদের সবার সঙ্গে চুক্তি আছে। এমনকি জানা গেছে তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর দেশটির নারী ফুটবলাররা পালিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ২৫ নারী ক্রিকেটাররা কেউ দেশ ছাড়েননি সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও।
এদিকে অস্ট্রলিয়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট বাতিলের পর দেশটির বোর্ড শঙ্কা করছে অন্য দেশগুলোও একই পথে হাটতে পারে। এতে করে আফগান ক্রিকেটের ক্ষতি হতে পারে। তাই অন্য দেশগুলোকে তাদের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এক বিবৃতি দিয়ে আফগান বোর্ডের সিইইউ বলেন, ‘আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক ও ধার্মিক আবহ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) অপারগ। আমরা ভয় পাচ্ছি, অন্য দেশগুলোও যদি অস্ট্রেলিয়ার পথ অনুসরণ করে, তাহলে ক্রিকেট বিশ্ব থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব। আমাদের দেশের ক্রিকেট উন্নয়ন থমকে যাবে। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান থেকে ক্রিকেটটাই হয়ত বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই দয়া করে আমাদের জন্য দরজা খোলা রাখুন। আমাদের সঙ্গে নিয়ে পথ চলুন।’
আফগানিস্তানের ক্রিকেট নিয়ে স্বয়ং আইসিসিও চুপ আছে। তাছাড়া জানা গেছে অন্য বোর্ডগুলোও তাদের প্রতি সংবেদনশীল, এর মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী বোর্ড ভারত ও পাকিস্তান।
তালেবান ক্ষমতা নেয়ার পর ফাইজিকে আফগান বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করে। তিনি গতকাল এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন মেয়েদের ক্রিকেট খেলার বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং এ ব্যপারে খুব শীগ্রই সুখবর আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।