মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে গঠিত নতুন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন সরকারকে চীন স্বীকৃতি দেবে কি না- সে সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য তিনি করেননি; তবে বলেছেন, চীন আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার দেখতে চায়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন ওয়েনবিন। সেখানে সাংবাদিকরা তার কাছে আফগানিস্তানে গঠিত নতুন সরকারের বিষয়ে চীনের অবস্থান জানতে চান।
উত্তরে ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তানের নতুন সরকার ও সেই সরকারের নেতা-কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য প্রস্তুত। আমরা বলতে চাই- চীন আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’ ‘তার পাশাপাশি, আমরা আশা করছি, আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের সর্বস্তরের জনগণের আকাক্সক্ষার প্রতি সম্মান দেবে এবং এমন একটি সরকার গঠন করবে, যা তাদের নিজেদের দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’
গত মঙ্গলবার আফাগনিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেছে তালেবান। সেই সরকারের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তালেবান বাহিনীর শীর্ষ ধর্মীয় নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। অন্যান্য নির্বাহী সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ (প্রধানমন্ত্রী), সিরাজউদ্দিন হাক্কানি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী), আব্দুল গনি বারাদার (উপ প্রধানমন্ত্রী), এবং মোহাম্মদ ইয়াকুব (প্রতিরক্ষামন্ত্রী)।
২০ বছর আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দফায় সরকার গঠন করল তালেবান। ১৯৯৬ সালে প্রথমবার সরকার গঠন করেছিল ইসলামপন্থি এই গোষ্ঠী, যারা অপসারিত হয়েছিল ২০০১ সালে দেশটিতে মার্কিন-ন্যাটো বাহিনীর অভিযানের সময়।
চলতি বছর মে থেকে আফগানিস্তান দখলের অভিযান শুরু করে তালেবান বাহিনী এবং মাত্র তিন মাসের মধ্যে দেশের ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টি নিজেদের দখলে নেওয়ার পর গত ১৫ আগস্ট কাবুলও দখল করে তারা।
গত জুন মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে দেখা করেছিল তালেবান প্রতিনিধি দল। সেই সাক্ষাতে চীনের কাছে তালেবান বাহিনীর প্রতি সমর্থন ও স্বীকৃতি চেয়েছিলেন প্রতিনিধিরা।
ওয়াং ই তখন সরাসরি কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি; তবে বলেছিলেন, আফগানিস্তানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি চীনের পূর্ণ সম্মান আছে। সম্প্রতি আফগানিস্তান প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে টেলিফোনে বৈঠক করেছেন ওয়াং ই। সেই বৈঠকে তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান বর্তমানে শাসনতান্ত্রিক ও সামাজিকভাবে ব্যাপক রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সবারই উচিত, এই দেশটির পাশে থাকা। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।