Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষ্মীপুরের জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৩৮ পিএম

মেঘনা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে লক্ষ্ণীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে এভাবে পানি বাড়ছে নদীপাড়ের এলাকায়। অমাবস্যার প্রভাবে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে আড়াই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। পানিতে তলিয়ে রয়েছে মানুষের ঘর-বাড়ী। এতে করে দূর্ভোগ আরো বাড়ছে কয়েকগুন। জোয়ারের পানিতে জেলার কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, সাহেবের হাট, চর ফলকন, পাটওয়ারীর হাট, রামগতির চর আলেকজান্ডার, চর রমিজ, বড়খেরী, চরগাজী, চরআবদুল্যাহ, সদর উপজেলা চররমনী মোহন ও রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী এবং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের নীচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। উপক‚লীয় বেড়িবাঁধ না থাকায় এসব ইউনিয়ন অরক্ষিত হয়ে পড়ে।

চররমনী মোহন ইউনিয়নের বাসিন্দা মিন্টু বলেন, দুপুরের দিকে মেঘনা নদীর অতিরিক্ত জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে। এতে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে পুনরায় পানি নেমে যায়। জোয়ারের পানি অনেকের রান্নাঘরের মাটির চুলোয় ঢুকে পড়ায় রান্নার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

রামগতির মেঘনা নদী বেষ্টিত বিচ্ছিন্ন চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের চর গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন ও রামগতি পৌরসভার বাসিন্দা জাফর আহমদ গনি জানান, গত তিনদিন থেকে অমাবস্যার প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে তাদের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নিমজ্জিত হয়ে যায়। কয়েকঘণ্টা পর পুনরায় জোয়ারের পানি নেমে যায়। চলতি বছরে চার বার জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে।

লক্ষ্ণীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহম্মেদ বলেন, সাধারণত অমাবস্যা বা পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির স্তর আড়াই থেকে তিন ফুট বৃদ্বি পায়। যার কারণে এ সময়টাতে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হলে জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পাবে উপক‚লের বাসিন্দারা।

 



 

Show all comments
  • মোঃ মহসিন ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:১২ পিএম says : 0
    ধন্যবাদ দৈনিক ইনকিলাব পএিকাকে কমলনগরের অসহায় লোকদের খবর পরিবেশনের জন্য। তবে কোন সরকারই এ অসহায় লোকদের সার্বিক সংরক্ষণের ব্যবস্হা নেয়নি।বর্তমানে আরো শোচনীয়। তাই আরো লিখবেন। আর আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী একসময় ইনকিলাব পএিকার পক্ষ নিয়ে তখনকার সরকারের বিরুদ্ধে অনেক তর্জন গর্জন করেছেন।আজকে ওনি সবচাইতে মজলুম।পারলে ওনার মুক্তির জন্য লিখলে বা কিছু একটা করতে পারলে আল্লাহ অবশ্যই খুশি হবেন ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ