মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালেবান কমান্ডার হিসেবে তিনি সাবেক আফগান সরকারের সাথে যুদ্ধ করে বছর কাটিয়েছেন। এখন, ক্ষমতায় ফিরে আসার সাথে সাথে, মোল্লা নেদা মোহাম্মদ প্রতিদ্বন্দ্বী আইএস গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আগস্টে তালেবানদের বিজয়ের পর মোল্লা নেদা আইএসের আফগানিস্তান-পাকিস্তান শাখার ঘাঁটি নানগারহার প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি এএফপিকে বলেন, ‘আমরা লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করছি।’ তিনি জানান যে, তার বাহিনী দেশটির পঞ্চম বৃহত্তম শহর নানগারহার প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে ৭০ থেকে ৮০ জন দায়েশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তানে মসজিদ, মাজার, পাবলিক স্কয়ার এবং এমনকি হাসপাতালে কিছু মারাত্মক হামলার মাধ্যমে বেসামরিক লোকদের হত্যা করার জন্য আইএস দায়ী। গোষ্ঠীটি গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের কাছে একটি বিধ্বংসী আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে, যাতে শতাধিক আফগান এবং ১৩ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল। ২০১১ সালের পর আফগানিস্তানে আমেরিকান বাহিনীর বিরুদ্ধে এটি ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
বিস্ফোরণের পর, মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে যে, তারা নানগারহার প্রদেশে একজন আইএস ‘পরিকল্পনাকারীর’ বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। তবুও, মোল্লা নেদা বলছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে, আইএস ইরাক এবং সিরিয়ার মতো আফগানিস্তানে বড় হুমকি তৈরি করেছে। ‘এখানে তারা উত্তর ও পূর্ব আফগানিস্তানে অনেক হতাহতের শিকার হয়েছে,’ তিনি বলেন, ‘তালেবান ক্ষমতায় থাকায় এখানে (আইএস) থাকার কোনো কারণ থাকবে না। ‘আমরা আইএসকে হুমকি মনে করি না।’
জুলাই মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএসের শক্তির সর্বশেষ অনুমান অনুযায়ী তাদের ৫০০ থেকে কয়েক হাজার সক্রিয় যোদ্ধা রয়েছে। যাইহোক, তালেবানরা তাদের গ্রীষ্মকালীন অভিযানের সময় কারাগার ভাঙার ফলে অনেক আইএস সদস্য মুক্তি পায়। প্রদেশের নতুন গভর্নর আশ্বস্ত করার কথা বলেছেন, কিন্তু অনেকে তালেবানদের ভিন্ন ধরনের শাসনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দিহান।
মোল্লা নেদা বলেন, ‘আমরা তাদের অধিকার রক্ষা করব এবং আমরা অপরাধীদের আফগানিস্তানের জনগণ বিশেষ করে নানগারহারের জনগণের ক্ষতি করতে দেব না।’ আশ্বাস সত্ত্বেও, জালালাবাদের একজন সাহায্য কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শহরের অনেক মানুষ খুশি নয়, এবং তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ভয় পায়।’ সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।