Inqilab Logo

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফুসে ওঠা সাগর আর উজানের ঢলে দক্ষিণাঞ্চলে প্লাবন পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম | আপডেট : ৭:৫৭ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ভাদ্রের বড় অমাবস্যার সাথে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ার আর উজানের নদ-নদীর বন্যার পানির ভাটিমুখি স্রোতে দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলভাগ জুড়ে প্লাবন পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলভাগের নদ-নদী স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৬ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কয়েক লাখ হেক্টরের রোপা আমন ছাড়াও উঠতি আউশের জমি প্লাবনের কবলে। বরিশাল মহানগরীর অনেক এলাকায়ই কীর্তনখোলা নদীর পানি প্রবেশ করেছে। জোয়ারে সাথে সকাল থেকে ভারী বর্ষণে নগরীর বেশ কয়েকটি রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। একই পরিস্থিতি পটুয়াখালী ও বরগুনা শহরেও।


জোয়ারের সাথে দক্ষিণ-পূবের হাওয়ায় সাগরের পানির প্রবাহ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর মাঝারী মাত্রায় উত্তাল রয়েছে। কুয়াকাটায় ব্যাপক গর্জনের সাথে ৫-৮ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়ছে। সাগর ফুসে জোয়ারের পানি দক্ষিণাঞ্চলকে প্লাবিত করায় দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ব্যাহত হবে আরো অন্তত ৪-৫ দিন। দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো নদ-নদী বিপদ সীমার ৪৫ থেকে ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর এবং বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সব নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে।

মৌসুমী বায়ু দক্ষিণাঞ্চল সহ সারা দেশে মাঝারী অবস্থায় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা প্রবল অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তবে বৃষ্টিপাত এখনো সীমিত রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টার পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত ২৪ মিলি বৃষ্টি হয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও মাঝে মধ্যেই সূর্য উকি দিচ্ছিল। বঙ্গোপসাগর থেকে সঞ্চালনশীল মেঘমালা উপক’লভাগ অতিক্রম করে দক্ষিণাঞ্চল পেরিয়ে উত্তরে ধেয়ে যাচ্ছে।

গতবছরও ভাদ্রের অমাবস্যায় ভর করে দক্ষিণাঞ্চল সহ সমগ্র উপকূলভাগে প্লাবনে বিশাল জনপদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। ফসলের ক্ষতি ছিল ব্যাপক। অমাবস্যার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩দিনে বরিশালে ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে উঠতি আউশ সহ রোপা আমনের বিপুল পরিমাণ জমি প্লাবিত হয়ে প্রায় দেড় লাখ টন চালের উৎপাদন ঘাটতি হয়।


এবার দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলায় ৭ লাখ ২৮ হাজার হেক্টরে আমন আবাদের লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছেন কৃষি যোদ্ধাগন। বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১টি জেলায় এবার আমন থেকে প্রায় ১৯ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে কৃষি মন্ত্রনালয়ের। কিন্তু বর্তমান দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পরিস্থিতি কতটুকু অনুকূলে থাকবে, তা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকগন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ