বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামে এ বছর বিলম্বিত বন্যায় সদর উপজেলা, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রৌমারী ও রাজিবপুরসহ ৯ উপজেলায় ছোটবড় মিলে প্রায় ২১৯টি পুকুর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে ২০২ জন মৎস্যচাষী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাগেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ২১৯টি পুকুর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যার আয়তন প্রায় ৩৩ হেক্টর।ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২০২ জন মৎস্যচাষী।এতে করে ৫৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের গারুহারা গ্রামের খুটু মিয়া জানান, আমার এলাকায় ২টি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেছি আমি।মাছ বিক্রি করার সময় এসেছে,এমতাবস্তায় বন্যার পানিতে ওই দুইটা পুকুরের মাছ বাহির হয়ে গেল।এতে করে ৪০-৫০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।শীতকাল তো চলেই আসছে, মাছ ছাড়বো কখন, আবার মাছ বড় করব কখন, সময় তো নাই।
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম গ্রামের মঈনউদ্দিন পাপ্পু জানান,আমি ৫ হাজার টাকার পোনা মাছ ছাড়ছি সেই মাছ বড় না হতেই বন্যায় পুকুর তলিয়ে সব মাছ বাহির হয়ে গেছে।মাছ গুলো থাকলে ২০-২৫ টাকা বিক্রি করা সম্ভব হতো।
নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান বলেন,আমার ইউনিয়নটি পুরাই চরাঞ্চল এখানে পুকুরের সংখ্যা একেবারেই কম।তাও চলমান বন্যায় না হলেও ১৫-২০টি পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান,এ বছর বন্যায় জেলায় ২১৩টি পুকুর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।এতে ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২০২জন মৎস্য চাষী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।