বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিপদজনক স্ক্র্যাপ লোহা বা ধারালো পণ্য গাড়িতে বহনের সময় তা ঢেকে বা কনটেইনারের ভেতরে আনা নেয়ার নিয়ম থাকলেও প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্টরা তা মানছেন না। এতে কোথাও কোথাও ঝাঁকুনির সময় গাড়ির ওপর থেকে ধারালো লোহা সড়কে পড়ে তা অন্য গাড়ির চাকা ছিদ্র করে দেওয়াসহ নানাভাবে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। এতে প্রায়ই জানমালের ক্ষতিসাধন হলেও এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই কারো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায়ই যানবাহনের চাকা ছিদ্র হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব দুর্ঘটনার কারণ খুঁজতে গিয়ে গাড়ির চালক-হেলপার ও মালিকরা দেখেন অধিকাংশ দুর্ঘটনার কারণ গাড়ির চাকায় ধারালো কিছু ঢুকে যাওয়া। এতে তাদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোন উপায়ই খুঁজে পাচ্ছে না। গত শনিবার দুপুর ১২ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সৌদিয়া পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস কুমিল্লা থেকে চট্রগ্রামে যাওয়ার পথে মিরসরাই এলাকায় হঠাৎ বিকট শব্দে মহাসড়কের পাশে দাঁড়ানো অন্য একটি কভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এইসময়ে গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে। পরে গাড়ি থেকে নেমে যাত্রী ও হেলপার দেখে সৌদিয়া পরিবহনের গাড়ীর সামনের চাকায় পেরেক ডুকে চাকা পাংচার হয়ে যাওয়া এই অবস্থা সৃষ্টি হয়। যাত্রীবাহী বাসটির চালক মো. ইব্রাহিম খলিল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই রকম দুর্ঘটনা প্রায় ঘটলেও মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন উদ্যোগে নেয় না। তাই এই রকম দুর্ঘটনা অহরহ ঘটছে বলে জানায়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা বাস মিনিবাস ও হিউম্যান হলার মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, দেশের অসংখ্য রি-রোলিং মিলসের জন্য স্ক্র্যাপ লোহা মহাসড়কে আনা নেয়া হয়। এসব স্ক্র্যাপ খুবই বিপদজনক। নিয়ম অনুযায়ী এগুলো কনটেইনারের ভেতরে ঢাকা অবস্থায় পরিবহন করার কথা। কিন্তু স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী কিংবা কিছু রি-রোলিং মিলস মালিক কোন নিয়ম কানুন না মেনে কম টাকায় পরিবহনের জন্য খোলা ট্রাক কিংবা ডাম ট্রাক ইত্যাদিতে করে পণ্যগুলো মহাসড়কে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আনা-নেওয়া করছে। আর এভাবে আনা-নেওয়া করার সময় ধারালো পণ্যগুলো মহাসড়কের উপর পড়ে বাস-ট্রাক-কারসহ নানান গাড়ির দুর্ঘটনার অন্যতম কারণে পরিণত হচ্ছে।
অপরদিকে, এভাবে মালামাল বহন করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম। তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শুধু স্ক্র্যাপ না, কোন পণ্যই খোলা অবস্থায় বহন করা উচিত না। এতে যেকোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
এ বিষয়ে হাইওয়ে পূর্বাঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, খোলা অবস্থায় এই ধরনের পণ্য মহাসড়কে চলাচল করা আইনের পরিপন্থী। বিষয়টি নিয়ে হাইওয়ে পুলিশ খুব শিগগিরই মহাসড়কে অভিযান শুরু করবেন। খোলা ট্রাক কিংবা ডাম ট্রাকে করে ধারালো পণ্যগুলো মহাসড়কে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় আনা-নেওয়া করা হলে গাড়ি আটকসহ এইসব পণ্যর মালিক কিংবা কারখানার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।