Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ থাকলে কার্যকর আইন বিভাগ অসম্ভব

জাতীয় সংসদে রুমিন ফারহানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যত দিন আছে, তত দিন কোনো কার্যকর আইন বিভাগ পাব, এই আশা করি না। সরকারে যেই থাকুক না কেন, এই সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত। গতকাল জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিচার বিভাগ স্বচ্ছতা নিয়ে ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে নাগরিকের টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব, এমন মন্তব্য করে আইনজীবী রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমাদের সংবিধান এমনভাবে লিখিত, যেখানে আইন বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের একটা ওভারল্যাপিং হবেই। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যত দিন আছে, তত দিন কোনো কার্যকর আইন বিভাগ পাব, এই আশা করি না। সরকারে যেই থাকুক না কেন, এই সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত।

রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে বিচার বিভাগের অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ খুব স্পষ্ট রায় দেন, ন্যায়ের পক্ষে রায় দেন। সেই জায়গায় বিচার বিভাগের রায়কে প্রশাসন একেবারে অগ্রাহ্য করলে রাষ্ট্র টিকে থাকবে কী করে?
বিএনপির এই এমপি বলেন, আমার দুর্ভাগ্য, সাত-আট বছর ধরে যতবারই আমি দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট থাকা সত্তে¡ও আমাকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। যদিওবা দুএকবার সুযোগ পেয়েছি। আমাকে তার আগে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়েছে। আমার পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আড়াই-তিন ঘণ্টা বাদে ফিরে আসার পরে ফ্লাইটের সময় থাকলে যেতে পেরেছি। না হলে পারিনি। বাংলাদেশে আসার সময়ও একই ধরনের হেনস্তার শিকার সাত-আট বছর ধরে হচ্ছি।

রুমিন বলেন, তিনি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর একটি লাল পাসপোর্ট পেয়েছেন। এরপর পৃথিবীর বিভিন্ন বিমানবন্দরে তিনি যথেষ্ট সম্মান পেয়েছেন। শুধু নিজের দেশে আসা-যাওয়ার সময় হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। তিনি বলেন, বহু বড় বড় অপরাধী যখন খুশি তখন দেশ থেকে চলে যান। তারা দেশে ফিরে আসেন। তাঁদের নামে মামলা হয়। তারা পালিয়ে যান। আদালত তাঁদের খুঁজে পান না। তারা কিন্তু ঠিকই বিদেশে চলে যান। তাঁদের ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা দেখা যায় না। বিরোধী দলের একজন কর্মীর ক্ষেত্রে কেন এই ধরনের বাধার মুখোমুখি বারবার হতে হয়, জানতে চান এই সাংসদ।

২০১৭ সালে তার একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন, কোনো রকমের বাধা দেওয়া বা হয়রানি করা যাবে না। স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্তে¡ও তিনি যখন বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাঁকে এভাবে হয়রানি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ