পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
তালেবান শাসনের অধীনে আফগানিস্তানের ভূখন্ড ভারতবিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার হতে পারে ভারতের এমন উদ্বেগের মধ্যেই তালেবানরা বলেছে যে, কাশ্মীরসহ বিশ্বের যে কোনো স্থানের মুসলমানদের অধিকার আদায়ের জন্য তাদের কথা বলার অধিকার রয়েছে। তবে কোনো দেশের বিরুদ্ধে তারা অস্ত্র ধরবে না।
বিবিসি উর্দুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন বলেছেন, ‘মুসলমান হিসেবে কাশ্মীর, ভারত এবং অন্য যে কোনো দেশের মুসলমানদের জন্য আমাদের কথা বলার অধিকার রয়েছে। আমরা আমাদের আওয়াজ তুলব এবং বলব যে, মুসলমানরা আপনাদের নিজের মানুষ, আপনাদের নিজের নাগরিক। তারা আপনার দেশের আইনের অধীনে সমান অধিকারের অধিকারী’। শাহীনের মন্তব্য কাশ্মীর নিয়ে তালেবানের আগের বক্তব্যের বিপরীতে। কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কয়েকদিন পর তালেবান বলেছিল, ‘কাশ্মীর একটি দ্বিপক্ষীয় এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়’।
ওদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ভারতের লক্ষ্য হলো এটা নিশ্চিত করা যে, আফগানিস্তানের ভূমি যেন কোনো ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহার করা না হয়। কাতারে ভারতের রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তাল মঙ্গলবার তালেবানের সিনিয়র নেতা শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের সঙ্গে দেখা করেন এবং ভারতের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানান যে, আফগানিস্তানের মাটি যেন ভারতবিরোধী কার্যকলাপ এবং সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করা না হয়। ওই বৈঠক তালেবানের সঙ্গে ভারতের প্রথম আনুষ্ঠানিক এবং প্রকাশ্য কূটনীতিক যোগাযোগ ছিল।
ভারতের আশঙ্কা, আফগানিস্তান ইসলামি সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে। কারণ এই প্রথম ইসলামি সন্ত্রাসীদের প্রত্যাশা মতো একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলো। আইএসআইএস এবং আল কায়েদাও একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। তবে আশঙ্কা রয়েছে যে, সুন্নি এবং ওহাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি তালেবানকে তাদের আশ্রয়স্থলে পরিণত করতে পারে। ভারতের আরো আসঙ্কা যে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই, যাদের তালেবান নেতৃত্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে, তারাও তালেবানকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা হয়তো তালেবানের ওপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে না, কারণ এবার তালেবানরা শক্তিশালী অবস্থানে আছে এবং তালেবানরা দুর্বল থাকলেই কেবল পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারতো।
ওদিকে, সম্প্রতি পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের এক নেতা বলেছেন, তালেবানরা ভারত থেকে কাশ্মীরকে ‘মুক্ত’ করতে সাহায্য করবে। এক টেলিভিশন সংবাদ বিতর্কে বক্তৃতায় নীলম ইরশাদ শেখ নামের পাকিস্তানি এই রাজনীতিবিদ বলেন, “তালেবানরা বলেছে যে, তারা আমাদের সাথে আছে এবং তারা কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমাদেরকে সাহায্য করবে”। সূত্র : বিবিসি উর্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।