Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৮ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে, উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৩৫ পিএম

দেশের প্রধান প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি ক্রমশ বাড়ছে।আজ বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দেশের আটটি নদীর পানি ১৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের ১১ জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও তা অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বৃষ্টিপাতের নদ-নদীর অবস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুশিয়ারা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পানি কমার এ ধারা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং শরীয়তপুর এ ১১ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলেও জানায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এব্যাপারে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, আটটি নদীর পানি ১৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, পদ্মা নদীর পানি সুরেশ্বর, ভাগ্যকুল ও গোয়ালন্দ স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। যমুনা নদীর পানি নয়টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে চলে গেছে। যমুনার পানি ফুলছড়ি, সাঘাটা, বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ, পোড়াবাড়ি, মথুরা ও আরিচায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।

এদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়া ও চিলমারীতে, ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধায় এবং ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান নির্বাহী প্রকৌশলী। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে বান্দরবানে ১১১, কাউনিয়ায় ৬৪, রংপুরে ৭২, চট্টগ্রামে ৫৫, ডালিয়ায় ৯২ ও ঠাকুরগায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশের উজানে ভারতে জলপাইগুড়িতে ১৮৪, তেজপুরে ৬৬ ও দার্জিলিংয়ে ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ