Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তা নদী হামার সবকিছু খেয়া ফেলাইছে

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৯ পিএম

তিস্তা নদী হামার সবকিছু খেয়া ফেলাইছে। বাঁধের ওপর কোনোরকমে ছাওনি ঘর বানে (বানিয়ে) দিন কাটাইছি। এইবার সেটাও ভেঙে গেলো। এলা থাকমো কোনঠে (কোথায়)। কথাগুলো বলছিলেন তিস্তা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের স্পার বাঁধ এলাকার বাসিন্দা শামসুল ইসলাম (৫৬)। তার মতো হাজারও মানুষ তিস্তার ভাঙনে দুর্ভোগে পড়েছেন। ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন অনেকে। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ভেন্ডাবাড়িতে তিস্তার নদীর স্পার বাঁধ ভাঙনের মুখে পড়ছে। ডান তীর বাঁধের নিয়ন্ত্রক এই স্পার বাঁধটি রক্ষায় আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বালুর বস্তা ফেলেও কোনও লাভ হয়নি। রাতে বাঁধটির প্রায় ২০০মিটার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এর ফলে উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি এলাকার আড়াই হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়েছে। স্পার বাঁধ এলাকার বাসিন্দা কুতুব আলী (৪৫) বলেন, আমার পাঁচ জনের সংসার। দীর্ঘদিন ধরে স্পার বাঁধে ছোট ঝুপড়ি ঘরে কোনোরকমে ছেলে মেয়ে নিয়ে দিন কাটাইতাম। সেটাও সর্বনাশা তিস্তা খেয়ে ফেলেছে। গত তিন দফায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলে ভাঙন শুরু হয়। সর্বশেষ স্পার বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় গতকাল সকালে বাড়িঘর সরে নিয়েছিলাম। এখন আর মাথা গোঁজারও ঠাঁই নেই। তিস্তা তীরের বাসিন্দা গোলাম রব্বানী বাবু (৫৬) বলেন, এই এলাকায় আড়াই হাজার পরিবার রয়েছে। তারা সবাই নদী ভাঙ্গা আবারো আতঙ্কে পড়েছেন। তারা এখন যাবে কোথায়। ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, তিস্তা এই এলাকার শতাধিক বাড়ি ঘর খেয়ে ফেলেছে গেল তিন দফার পানি বৃদ্ধিতে। হুমকির মধ্যে রয়েছে ভেন্ডাবাড়ি ও ছাতুনামার চরের হাজার হাজার পরিবার। ভেন্ডাবাড়ি চরের দুই নম্বর স্পারটি রক্ষায় কয়েক দিন থেকে কাজ করা হচ্ছিল। গত রোববার মধ্য রাতে পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায়। কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে। তিনি বলেন, স্পারটি ভাঙ্গণ ধরায় ডান তীর বাঁধ জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের মিলিত হয়েছে। এই অংশটির পিছনে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী আসফাউদেীলা জানান, স্পার বাঁধটি ১০০ মিটার ধ্বসে পড়েছে। বালুর বস্তা দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। ওই এলাকায় শত শত মানুষ বাস করে। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা

১৫ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ