পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামির পরিবর্তে সাজা ভোগ করে কারামুক্ত নিরপরাধ মিনুর মৃত্যুর ঘটনা গুরুত্বসহকারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার এসআই খোরশেদ আলম ও কোতোয়ালি থানার এসআই জুবায়ের মৃধা বিষয়টি তদন্ত করবেন। আদালত দুই তদন্ত কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন, কেন সে (মিনু) রাত ৩টায় বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে গেল? তাকে প্রক্সি দিয়ে জেল খাটানোর ঘটনায় আটকদের কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না অথবা শুধুই আটকরা প্রক্সির ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে জড়িত কি না, নাকি অন্য কেউ আছে, এসব বিষয় সিরিয়াসলি তদন্ত করবেন।
আদালত প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ইনস্ট্রাকশন নিতে ওই দুই কর্মকর্তাকে বলেছেন। পরে তাদের (দুই পুলিশ কর্মকর্তা) ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে এ বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গতকাল সকালে কারামুক্ত নিরপরাধ মিনুর মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলার ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও সুরতহাল প্রতিবেদনসহ মামলার নথি নিয়ে দুই তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন। গত ১৬ আগস্ট মিনুর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও সুরতহাল রিপোর্ট তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া মিনুকে সাজা খাটানো কুলসুমীর মামলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ যাবতীয় নথিও তলব করেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ১ সেপ্টেম্বর এসব নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল। ওইদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী। এর আগ মিনুর ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ মারা যাওয়ার ঘটনাটি উচ্চ আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়ক থেকে দুর্ঘটনায় নিহত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় ‘অজ্ঞাত’ হিসেবে মরদেহ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। পরবর্তীতে বায়েজিদ থানার একটি টিম সীতাকুন্ডু এলাকার লোকজনকে ছবি দেখিয়ে মিনুর পরিচয় শনাক্ত করে। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়।
এর আগে কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে নিরপরাধ মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ১৬ জুন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে ৩ বছরেরও অধিক সময় কারাভোগ শেষে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। সে সময় প্রকৃত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।