মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রে আবারো বাড়তে শুরু করেছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশেষ করে করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দেশটিতে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ২৭টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণকারীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ইইউ জানিয়েছে, সদস্য দেশগুলো চাইলে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারী মার্কিন পর্যটকদের নিজের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিতে পারে। এর আগে গত জুনে ইউরোপীয় কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, গ্রীষ্মকালীন পর্যটন মৌসুমের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকদের ওপর ইউরোপে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। তবে সা¤প্রতিক সংক্রমণের তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপদ দেশের তালিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিতে সুপারিশ করেছে কাউন্সিল। এমন সময়ে এসব আলোচনা শুরু হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ।
আবার যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকদের জন্য ইইউর দরজাও খোলা রয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারী শুরুর আগে বছরে দেড় কোটির বেশি মার্কিন পর্যটক ইউরোপের দেশগুলোতে ভ্রমণ করতেন। এখন যদি আবারো তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে নতুন করে লোকসানের মুখে পড়বেন ইউরোপের ব্যবসায়ীরা। টাকার অংকে যে ক্ষতির পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ছাড়াবে। বিশেষ করে ক্রোয়েশিয়ার মতো পর্যটকনির্ভর ছোট দেশ, যারা এরই মধ্যে পর্যটন খাত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় করে মহামারীর ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। ইউরোপীয় কাউন্সিল বলছে, মার্কিন পর্যটকদের অকারণে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ভাবছে তারা। তবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো পূর্ণ ডোজ টিকা দেয়া পর্যটকদের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে পারে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণকারীদের অবশ্যই ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ইউরোপে পৌঁছে তাদের কোয়ারেন্টিনেও থাকতে হবে। পাশাপাশি সেখানে পৌঁছে প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করাতে হবে। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা মূলত টিকা দেননি এমন পর্যটকদের জন্য। তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য শিগগিরই সব মার্কিনকে টিকার আওতায় নিতে হবে। সেই সাথে সবাই যেন যথাযথ নিয়মে মাস্ক পরেন ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এসবের মাধ্যমেই ভাইরাসটির সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে হবে। নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।