বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের শিয়ালিয়া গ্রামের সিদ্দিক মাঝি (৮০) নামের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। মঙ্গলবার দুপুরের এলাকার গর্জনবুনিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত সিদ্দিক মাঝির নিকট একই গ্রামের নজরুল ইসলাম এক ব্যক্তি ধার হিসেবে এক লক্ষ টাকা পেতেন। দীর্ঘদিনেও টাকা আদায় করতে না পেরে নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম। ইউপি চেয়ারম্যান চৌকিদার মারফত ডাকালেও পরিষদে হাজির হননি সিদ্দিক মাঝি। সোমবার পাওনাদার নজরুল ইসলাম পুনরায় চেয়ারম্যানের স্মরনাপন্ন হলে চেয়ারম্যান সফিকুজ্জামান মাহফুজ সিদ্দিক মাঝিকে ধরে আনার জন্য চৌকিদারদের নির্দেশনা দেন। মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ নজরুল ইসলাম দলবলসহ ধরে নিয়ে যাওয়ার পথে গর্জনবুনিয়া নামক স্থানে বসে বেলা ১২টার দিকে বেদম মারধর করে।
সিদ্দিক মাঝির পরিবারপরিজনসহ স্থানীয়রা অজ্ঞান অবস্থায় বেলা আড়াইটার দিকে বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেল ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এব্যাপারে সিদ্দিক মাঝির মেয়ে হালিমা বেগম জানান, 'নজরুল ইসলাম, ফোরকান, শাকুরসহ ৪/৫জন গতরাতে আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়। আজ সকালে নজরুলরা আমার বাবাকে বেদম মারধর করা হয়। আমাকে বাঁচাও বাঁচাও করে চিৎকার করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি।
চেয়ারম্যান সফিকুজ্জামান মাহফুজের নির্দেশে তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন সিদ্দিক মাঝির কন্যা হালিমা বেগম।
ঘটনাস্থল গর্জনবুনিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মেহেদী হাসান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম তারিকুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা পরিদর্শন করেছেন।
এব্যাপারে নলটোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফিকুজ্জামান মাহফুজ বলেন, 'এঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি আমার জানাও ছিল না। আমার বিরোধী পক্ষ আমাকে জড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।'
সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার নীহার রঞ্জন বৈদ্য বলেন, 'অজ্ঞান অবস্থায় কে বা কারা রেখে গেছেন। মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা কার্য চালানো হয়েছে। ইসিজি করতে গেলে তাকে মৃত দেখা যায়।' বুধবার সকালে তার পোস্ট মর্টেম করা হবে বলে জানান ওসি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের প্রমাণাদি পাওয়া যায়নি। এখনো তদন্ত চলছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। '
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।