মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বব্যাপী চলা নৃশংসতায় তুরস্ক চোখ বন্ধ করে থাকবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। আফগানিস্তানে থেকে সেনা প্রত্যাহারের আগমুহূর্তে সেখানে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এসব কথা বলেন। এরদোগান বলেন, প্রযুক্তি শান্তি আনে, যুদ্ধ না। নাঙা তরবারির মুখে আফগান মায়েরা যদি তাদের সন্তানদের বিদেশি সেনাদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন, সেই দৃশ্য দেখে আমরা আমরা চুপ থাকি কী করে। কাবুল বিমানবন্দরে তালেবানের ভয়ে আফগান মায়েদের সন্তান মার্কিন সেনাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা বলেন। এরদোগান বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০-এর দ্বিতীয় চালান গ্রহণ করতে তার সরকার বদ্ধপরিকর। আমেরিকাসহ ন্যাটো জোটের অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর প্রচন্ড বিরোধিতা সত্ত্বেও এ ঘোষণা দিলেন এরদোগান। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতার লক্ষ্যে আঙ্কারা ও মস্কো এ পর্যন্ত বহু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। এস-৪০০-এর দ্বিতীয় চালান গ্রহণ করতে তুরস্ক বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবে না বলেও তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বসনিয়া হার্জেগোভিনা সফর শেষে রোববার বিমানে করে দেশে ফেরার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরদোগান এ প্রত্যয়ের কথা জানান। ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়, এর আগে রাশিয়ার সমরাস্ত্র রপ্তানিকারক রাষ্ট্রীয় সংস্থা রোসোবোরোন-এক্সপোর্টের পরিচালক আলেক্সান্ডার মিখিভ গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন, ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় দফায় রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের এস-৪০০ ব্যবস্থা কেনার চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমেরিকার তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাশিয়ার কাছ থেকে প্রথম দফা এস-৪০০ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তুরস্ক। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে এই ব্যবস্থা কেনার ব্যাপারে চুক্তি সই হয়। এই ব্যবস্থা কেনা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে আমেরিকার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কে তীব্র টানাপড়েন চলছে। আমেরিকা দাবি করছে, তুরস্ক এস-৪০০ ব্যবহার করলে রাশিয়া ন্যাটো জোটের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোপন তথ্য জেনে যেতে পারে এবং সেক্ষেত্রে ন্যাটোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়বে। তুরস্ক অবশ্য এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। এস-৪০০ ব্যবস্থায় পাঁচ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুর যেকোনো লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে তাতে একযোগে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ব্যবস্থা রয়েছে। অপরদিকে, আফগানিস্তানে ক‚টনৈতিক মিশন অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এরই মধ্যে কাবুলে নিজেদের ভবনে আবার ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে তুরস্কের দূতাবাস। দু’সপ্তাহ আগে তালেবানরা আফগানিস্তান দখল করে নেয়। রাজধানী কাবুল দখল করার আগে বা সময়ে আফগানিস্তান থেকে ক‚টনৈতিক মিশন প্রত্যাহার করে নিয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। অন্যদিকে আফগানিস্তান থেকে বেসামরিক লোকজন এবং সেনাদের উদ্ধার করেছে তুরস্ক। তবে সেখানে এখনও অবস্থান করছে ‘টেকনিক্যাল গ্রুপের’ একটি ছোট্ট টিম। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। রোববার মন্টিনেগ্রো থেকে ফেরার পথে বিমানের ভিতরেই মিডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেন এরদোগান। এ সময় তিনি বলেন, দু’সপ্তাহ ধরে কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূতাবাসের কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়েছে। এখন কাবুলে দূতাবাস ভবনে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে তুরস্কের দূতাবাস। সেখানে দূতাবাসকর্মীরা তাদের কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। এরদোগান বলেন, এখন এই উপায়ে কাবুলে আমাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখতে হবে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমাদের পরিকল্পনা অব্যাহতভাবে আপডেট করছি। এখন পর্যন্ত তালেবান যে বিবৃতি বা বক্তব্য দিয়েছে, তাতে সতর্ক আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক। তবে এরদোগান বলেন, তালেবানদের এসব বক্তব্য কাজে দেখতে চায় তুরস্ক। নিরাপত্তার জন্য দায়ী হবে তালেবানরা। তার ভাষায়, যদি আর একটি হামলা হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে আঙ্কারা। কিভাবে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেবো? যদি আপনারা নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন এবং আরেকটি রক্তপাত হয়, তাহলে বাকি বিশ্বের কাছে আমরা কি জবাব দেবো? ব্যাপারটা অতো সহজ নয়। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলা হয়। তাতে ১৩ মার্কিন সেনাসহ কমপক্ষে ১৭০ জন নিহত হয়েছেন। ডেইলি সাবাহ, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।